অনিশ্চয়তায় পড়েছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চার এসএসসি পরীক্ষার্থী। গেল বছরের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেয়ায় ফলাফল না আসার আশঙ্কায় রয়েছে তারা। তবে লিখিত কোন অভিযোগ না থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারছে না উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল সোমবার ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন ডোমার উপজেলার চিলাহাটি মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৯ জন পরীক্ষার্থী চিলাহাটি বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ২১ জন পরীক্ষার্থী ছিল বাণিজ্য বিভাগের।
পরীক্ষা চলাকালে নৈর্ব্যত্তিক(এমসিকিউ) প্রশ্নপত্রে বাণিজ্য বিভাগের চার পরীক্ষার্থীকে ২০১৪ সালের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। না বুঝেই তাড়াহুড়া করে পরীক্ষা দিয়ে বাইরে এসে বুঝতে পারে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে তারা।
পরীক্ষার্থীরা হলো মোস্তাকিম, রোল ৮১৯০৪০, রাশেদুল ইসলাম, রোল ৮১৯০৪২, মেহেদী হাসান রিফাত, রোল ৮১৯০৪৪ এবং লাহহে মাহফুজ সঞ্চয়, রোল ৮১৯০৪৬। পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান রিফাত জানান, হলে সরবরাহ করা প্রশ্নে আমরা উত্তর দিয়ে আসি। পরে বন্ধুদের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে দেখি প্রশ্নপত্রটি ২০১৪ সালের।
চলতি বছরের প্রশ্নপত্র নয় উল্লেখ করে চিলাহাটি মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দায়িত্বহীনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ভুল করে বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেছে কিন্তু বাচ্চারা তাড়াহুড়ায় খেয়াল না করে ভালভাবে উত্তর না দিয়ে ফিরে যায়। ভুলের কারণে তাদের রেজাল্ট নাও আসতে পারে।
বিষয়টি অস্বীকার করে কেন্দ্র সচিব চিলাহাটি বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী বলেন, পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে আমার কোন ভুল ত্রুটি ছিলো না। তিনি জানান, যে চারজন শিক্ষার্থীর কথা বলা হচ্ছে তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি তারা আমার কাছে কোন অভিযোগ করে নি। বিষয়টি স্ক্যান্ডাল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কোন অভিযোগ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা। তিনি জানান, মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ আসলে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
তবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি দেখার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।
Next Post