ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতির সাত দিনে বিভিন্ন বিভাগের ২৮টি চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। এ অচলাবস্থার আশু সমাধান না হলে জানুয়ারি মাসেই ৮০টিরও বেশি চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত হবে বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী। শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা এভাবে চলতে থাকলে খুব শিগগিরই ভয়াবহ সেশনজ্যামের মধ্যে পড়বে বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষার্থীরা সল্পসময়ে অচল অবস্থা কাটিয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যেতে চায়। ক্যাম্পাস ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর সূত্রে জানা যায়, শিক্ষকদের লাগাতার সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলা, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি, ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিভাগের পূর্বঘোষিত মোট ৩০টি চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এর মধ্যে ১২ জানুয়ারি ২টি, ১৩ জানুয়ারি ৬টি, ১৪ জানুয়ারি ৯টি, ১৬ জানুয়ারি ৫টি, ১৭ জানুয়ারি ২টি, ১৮ জানুয়ারি ৪টি এবং ১৯ জানুয়ারি ২টি চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত হয়েছ।
দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা চললেও ইবি শিক্ষক সমিতি পরীক্ষাও বর্জন করায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে দীর্ঘ সেশন জ্যামের আশঙ্কায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে শিক্ষার্থীরা। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী উর্মি খাতুন বলেন, “সেশনজ্যাম আমাদের শিক্ষাজীবন অতিষ্ট করে তুলছে। বিভিন্ন আন্দোলনের সময় স্যাররা আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার কথা বললেও এই কথার কর্যকারিতা দেখা যায় না। এ বিষয়ে ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুশিয়ে দেব। যেহেতু শাট ডাউন কর্মসূচি চলছে তাই আমরা পরীক্ষা স্থগিত রেখেছি।’