ঢাকা: ২০১৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। এবার সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৯০১।
গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছর ১০ বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ পরীক্ষার্থী।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ শিক্ষার্থী।
মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ০২ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০১ শতাংশ।
এছাড়া চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, কমিল্লা বোর্ড ৮৪ দশমিক ২২ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ড ৮৫ দশমিক ০৫ শতাংশ, বরিশাল বোর্ড ৮৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সিলেট বোর্ড ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশ, যশোর বোর্ড ৮৪ দশমিক ০২ শতাংশ এবং রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ২০১৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষা নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় সকল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলেল বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফল প্রকাশ করা হবে বেলা দুইটার দিকে। স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নোটিস বোর্ডে এসএসসি ও সমমানের ফলাফল জানা যাবে। এছাড়া শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইলের এসএমএস করে পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে।
যে কোনো মোবাইল অপারেটর থেকে এসএসসি লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল জানা যাবে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd) থেকেও পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ ও হরতালের কারণে শুরু হয় ৬ ফেব্রুয়ারি। এরপর প্রতিটি পরীক্ষাতেই অবরোধ-হরতালের কালো থাবা পড়ে। সবগুলো পরীক্ষা নেওয়া হয় শুক্র-শনিবারে। ফলে ১০ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ৩ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৭ দিনের মাথায় আজ ফলাফল ঘোষণা করা হলো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে এবার ৮টি বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৯১ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে (কারিগরি) ১ লাখ ১০ হাজার ২৯৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। যার মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৩৩ হাজার ২২০ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫২৫ জন ছাত্রী। মোট ৩ হাজার ১১৬টি কেন্দ্রে ২৭ হাজার ৮০৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।