বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেছেন, ক্যাম্পাসে অনিয়ম ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা নিয়ে জাতি আজ শঙ্কিত। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি রোববার ছাত্রশিবির ঢাকা অঞ্চলের কলেজ দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সকাল ১০টায় রাজধানীর এক মিলনায়তনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সেলিম উদ্দিন।
শিবির সভাপতি বলেন, প্রতিটি অভিভাবক একবুক স্বপ্ন নিয়ে তাদের সন্তানদের যোগ্য করে তোলতে ক্যাম্পাসে পাঠায়। আর প্রতিটি ছাত্রও নিজেদের গড়ে তুলতে উচ্চ শিক্ষার একটি রাস্তা হিসাবে কলেজে আসে। প্রতিটি ক্যাম্পাস স্বপ্ন পূরুণের স্থান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় জাতির স্বপ্ন পূরণের স্থান সেই ক্যাম্পাস গুলো আজ ভয়ঙ্কর স্থানে পরিণত হয়েছে। সরকার সেখানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেনি। উল্টো দলীয় সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে যাচ্ছে। ফলে শিক্ষাঙ্গনগুলো এখন বিভীষিকাময় স্থানের নাম। শিক্ষাঙ্গন থেকে আগামীর দেশ গড়ার কারিগরেরা বেরিয়ে আসবে এমনটিই জাতি আশা করে। কিন্তু সেই শিক্ষাঙ্গন আজ রক্তাক্ত। শিক্ষার জন্য পাঠিয়ে সন্তানদের লাশ বহন করতে হচ্ছে স্বজনদের। সরকারের প্রত্যক্ষ্ মদদে বিভিন্ন ক্যাম্পাসকে অবৈধ অস্ত্রের মিনি ক্যান্টনমেন্ট পরিণত করা হয়েছে। ছাত্রদের রক্তে ক্যাম্পাস রক্তাক্ত হওয়া প্রতিদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে। মেধাবী ছাত্রদের হত্যা, জুলুম নির্যাতন করে অবৈধ ভাবে মদদ দেয়া হচ্ছে ছাত্র নামধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের। অপর দিকে শিক্ষা প্রশাসনে চলছে নির্লজ্জ, অনিয়ম, দূর্নীতি ও দলীয় করণ। ফলে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতি আজ শঙ্কিত।
তিনি দায়িত্বশীলদের উদ্দেশে বলেন, দায়বদ্ধ অবস্থানে থেকে ছাত্রশিবির এই জাতি বিনাশী অপতৎপরতা মেনে নিতে পারে না। যদিও আমরা হত্যা, জুলুম নির্যাতনের স্বীকার তবুও বসে থাকার সুযোগ নেই। কারণ সব বাধাকে অতিক্রম করে দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতার জন্য যোগ্য নাগরিক তৈরি করা জাতির কাছে ছাত্রশিবিরের অঙ্গিকার। ইসলামের আলোকে ছাত্রদের জীবন গড়তে না পারলে এই ধ্বংস যাত্রা রুখা যাবে না। সুতরাং ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীলদের এক্ষেত্রে সাহসীকতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে। যেকোনোভাবেই হোক প্রতিটি ছাত্রের কাছে ইসলামের আহবান পৌছে দিয়ে তাদের দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য যোগ্য করে গড়ে তুলার বিরামহীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ধরে রাখতে প্রতিটি দায়িত্বশীলকে সাহসী ও কৌশলী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।