বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শোভাযাত্রায় যেন শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ছিল। একে একে ২২টি বছরের পথচলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স এখন ২৩। ‘তরুণ অরুণে হাসুক আকাশ’— এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয়েছিল ২৫ নভেম্ব্বর। সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা খুলনা শহর প্রদক্ষিণ করে। শুরুতে ক্যাম্পাস থেকে সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মিলিত হন খুলনার শিববাড়ি মোড়ে। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করা হয় দিবসের।
বিকালে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান, আবৃত্তি, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র—কী ছিল না সেই আয়োজনে। ভৈরবী, কৃষ্টি, সাধুসঙ্গ আর টেন্থ সিমম্ফনির পরিবেশনায় ছিল রবীন্দ্র, নজরুল, আধুনিক, বাউল সঙ্গীত ও ব্যান্ড সঙ্গীতের আয়োজন। নাচের দল ‘রিদম ও স্পার্কে’র পরিবেশনায় ছিল নৃত্যানুষ্ঠান। আবৃত্তির ছন্দে ছন্দে ছিল একঝাঁক জেগে ওঠার কবিতা। নাট্যসংগঠন নৃ-নাট্য আর থিয়েটার নিপুণের যৌথ পরিবেশনায় অগ্নিপথের ইশতেহার সবার মনে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে একটি রেখা এঁকে দিয়েছিল। আর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সব দর্শককে দিয়েছিল ভিন্ন বিনোদনের স্বাদ।
সকাল থেকেই ‘বাঁধন’-এর উদ্যোগে ছিল বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের সুযোগ। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের রংতুলির আঁচড়ে পুরো ক্যাম্পাস হয়ে উঠেছিল বর্ণময়।