সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ‘ছাত্রলীগকে খারাপ খবরের শিরোনাম না হওয়ার আহ্বান’ জানিয়েছিলেন। সপ্তাহ পার না হতেই আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এ সময় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরস্পরকে ধাওয়া করেন তাঁরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের পক্ষের কর্মী ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের পক্ষের কর্মীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার সভাপতি পক্ষের ছাত্রলীগের কর্মী ইমরান বিশ্বাসকে মারধর করেন সাধারণ সম্পাদকের কর্মী পিয়াস ও তাঁর সহপাঠীরা। এ ঘটনায় আজ বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে চাপাতি, রামদা, রড ও দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় উভয় পক্ষ। একপর্যায়ে বেলা সোয়া ১১টার দিকে সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের কর্মীদের ধাওয়া করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয় সভাপতির পক্ষ। পরে আবার সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের কর্মীরা সভাপতির পক্ষের কর্মীদের ধাওয়া করলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও শরিফুল ইসলাম গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিকে আনেন। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে যারা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নূর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে স্টাম্প, রড ও কয়েকটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে।