তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, রোববার দিনের বেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪৩তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের মেয়ে বান্ধবীরাসহ শহীদ রফিক জব্বার হল এলাকায় ঘুরতে যায়। এ সময় শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্দেশ্যে অশোভন উক্তি করে।
পরে ওই শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে সিনিয়র শিক্ষার্থীদেরকে (৪২ তম ব্যাচ) জানালে রাতে বটতলা এলাকায় সমঝোতা বৈঠকে বসে দু’হলের শিক্ষার্থীরা। বৈঠকে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা শহীদ রফিক-জব্বার হলের শামীমকে ব্যাপক মারধর করে।
এ ঘটনা দেখতে পেয়ে পাশ্ববর্তী মাওলানা ভাসানী হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদেরকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এছাড়া মেনন নামের আরেক শিক্ষার্থীকেও মারাত্মক আঘাত করা হয়। তবে ঘটনাস্থল অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকায় কে কে মারধর করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রথমে শামীমই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উজ্জল ও হাবিবকে থাপ্পড় দিয়েছে। সাথে সাথেই সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এ ঘটনার প্ররিপ্রেক্ষিতেই উভয় হলের শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থায় ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে এক প্লাটুন পুলিশ বটতলা এলাকায় অবস্থান নেয়।
তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা।