দেশের ৩৭ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার ক্লাস বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (জিটিআই) শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ক্লাস চলছে বলে জানা গেছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বন্ধে শিক্ষক সমিতির আহ্বান উপেক্ষা করে চলছে প্রশিক্ষণ ক্লাস। এদিকে এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিটিআইয়ে দেশের ২৬টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ জন শিক্ষকের অংশগ্রহণে ‘শিখন পদ্ধতি ও কৌশল’ শীর্ষক দুই সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর ক্লাস চললে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি প্রশিক্ষণ বন্ধের আহ্বান জানায়। কিন্তু সোমবার যথারীতি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলে জিটিআইতে। এদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করায় শিক্ষার্থীদের ক্লাসসহ পূর্বঘোষিত ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে জিটিআই প্রশাসন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শেষবর্ষের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে শিক্ষকরা নিজেদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা যখন সেশনজট নিয়ে শঙ্কিত তখন শিক্ষকরা নির্দিষ্ট সময়ে নিজেদের প্রশিক্ষণ সমাপ্তি নিয়ে ব্যস্ত। থিসিস ডিফেন্স বন্ধ থাকায় মাস্টার্স শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন চাকুরিতে আবেদন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন অনেক ভুক্তভোগী মাস্টার্স শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এবিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, গতকাল শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জিটিআই প্রশাসনকে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিশ্রুতি দিয়েও কেনো তিনি প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন তা আমার বোধগম্য নয়। বন্ধের আহ্বান জানানোর পরও কেনো প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে সে বিষয়ে জিটিআইয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. মোজাহার আলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।