জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইতিহাস বিভাগের এক অধ্যাপক শিক্ষার্থীদের আশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গীর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী মোড়ে বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী তার বান্ধবীদের নিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। তাদের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আবু সায়েম, ৪৩তম ব্যাচের জামশেদ আলম ও জাহিদ হাসান।
এ সময় রিকশায় থাকা এক মেয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘থাপ্পর দিয়ে গাল ফাটিয়ে দেব।’ পরে সায়েম ওই মেয়ের কাছে এর কারণ জানতে চান। তখন প্রত্যুত্তরে ওই মেয়ে বলেন, ‘আমাদের টিজ করলেন কেন?’ তখন সায়েম বলেন, ‘আমরা কোন টিজ করেনি। কি টিজ করেছি?’ তখন ওই মেয়ে এর কোন উত্তর দিতে পারেননি। পরে সায়েম তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ওই মেয়ে নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন। পরে ওই মেয়ের আইডি কার্ড দেখতে চান সায়েম। তখন ওই মেয়ে তার কার্ড দেখাতে পারেননি।
এ সময় ওই মেয়ের সঙ্গে থাকা এক ছেলে বন্ধু সায়েমের নাক বরাবর একটি আইডি কার্ড ধরেন। পরে সায়েম উত্তেজিত হয়ে ওই ছেলের আইডি কার্ড ছুড়ে ফেলে দেন এবং তাকে চর-থাপ্পর দেন। এ সময় সায়েমের সঙ্গে থাকা জাহিদ ও জামশেদ ওই ছেলেকে মারধোর করতে থাকনে। তখন ওই রাস্তা দিয়ে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। পরে তিনি রিকশা থামিয়ে জামশেদ ও জাহিদকে উদ্দেশ্য করে বলেন ‘শুয়োরের বাচ্চা এদিকে আয়।’ এ সময় শিক্ষার্থীদের গালি দেয়ায় কারণে তার পরিচয় জানতে চান সায়েম। তখন তিনি নিজেকে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বলে পরিচয় দেন। তখন ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তি ওই শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি শিক্ষক জাতির কলঙ্ক।’ পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুর্শিদুর রহমান আকন্দ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সায়েম বলেন, ‘স্যারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে তিনি আমাদের কাছে ভুল স্বীকার করেছেন।’ তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি এ ধরনের কথা বলিনি।’
Prev Post