বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে একযোগে সারা দেশে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় মোট ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।
বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, গত বছরের তুলনায় এবার ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৩ জন বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে। এছাড়া গতবারের তুলনায় এ চলতি বছরের পরীক্ষায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও বেড়েছে।
এবার এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে নয় লাখ ২৪ হাজার ১৭১ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে এক লাখ সাত হাজার ৫৫৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম/ভোকেশনালে এক লাখ চার হাজার ৬৬৯ এবং ডিআইবিএসে চার হাজার ৯৭৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে।
এ বছরের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ জন ছাত্র এবং ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮১ জন ছাত্রী।
শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ৩ এপ্রিল থেকে ৫ জুন পর্যন্ত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৭ থেকে ১৬ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছরের তুলনায় এবারো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সৃজনশীল পদ্ধতি রয়েছে। বাংলা প্রথম পত্র, রসায়ন, পৌরনীতি, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, জীববিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ ও ব্যবহারিক ব্যবস্থাপনা, সমাজ বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার শিক্ষা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রসহ মোট ২৫টি বিষয়ে এবার সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আশা করছি, সৃজনশীল কোনো সমস্যা নয়। ছেলেমেয়েরা ভালোভাবেই শিখছে। সৃজনশীল পদ্ধতি অভিভাবকরা উপলব্ধি করছেন। আস্তে আস্তে এটা আয়ত্তে এসে যাবে। এতে পাঠ্যপুস্তক ভালোভাবে জানা হয়ে যায়।”
এছাড়া অন্যান্য বারের মতো এবারো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এক্ষেত্রে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরতদের শ্রুতিলেখক হিসেবে নিযুক্ত করা যাবে । শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।