জুলিয়ান মুরকে দিয়ে তুলনাটি করলে ভালো বোঝা যাবে ব্যাপারটা। সব মিলিয়ে ১৬৯টি মনোনয়ন পেয়ে ৭৮টি পুরস্কার জিতেছেন। মুর হলিউডের ইতিহাসেই সবচেয়ে বেশি পুরস্কারজয়ীদের একজন। যদিও এর মধ্যে সব এলেবেলে পুরস্কারের হিসাবও আছে। যে পাঁচটি পুরস্কারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, মুর তাও জিতেছেন নয়বার। সেখানে জেনিফার লরেন্সের প্রধান পুরস্কারের সংখ্যা এরই মধ্যে ১১, সেটিও মাত্র ২৫ বছর বয়সেই!
মাত্র ২১ বছর বয়সে অস্কার জিতেছেন। তাঁর চেয়ে কম বয়সে অস্কার জয়ের কৃতিত্ব আছে আর একজন অভিনেত্রীরই, তিনি হলেন মারলে মাটলিন। বাফটা, গোল্ডেন গ্লোব, অ্যাক্টরস গিল্ড, ক্রিটিকস চয়েস…কী নেই লরেন্সের ট্রফিকেসে! হলিউডে পুরস্কার মৌসুম শুরু হতেই আবারও আলোচনায় লরেন্স। ধারণা করা হচ্ছে, জয়-এ যে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন, আবারও লরেন্সের জয়জয়কারই দেখা যাবে। এই ছবিতে ব্র্যাডলি কুপার আর রবার্ট ডি নিরোর সঙ্গে আবারও কাজ করেছেন তিনি। সর্বশেষ যেবার এই দুজনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, সেবারই অস্কার উঠেছিল তাঁর হাতে!
তবে সিলভার লাইনিংস প্লেবুক তারকা যেন এবার আগে থেকেই হার মেনে নিচ্ছেন। কিংবা তাঁর ভক্তদের প্রত্যাশার পারদ নামিয়ে আনছেন নিচে। লরেন্স বলছেন, ‘আমার মনে হয় এই বছরটা হবে ব্রি লারসনের, সেটাই হওয়া উচিত।’ লারসন রুম দিয়ে সত্যিই এবার কাঁপিয়ে দিয়েছেন। জিতে চলেছেন একের পর এক পুরস্কার।
মজার ব্যাপার হলো, এই দুই ছবিতে দুই অভিনেত্রীর চরিত্রের নামই ছিল ‘জয়’। এবার গোল্ডেন গ্লোবে দুই জয়ই জিতেছেন। একজন মিউজিক্যাল ও কমেডি বিভাগে, অন্যজন ড্রামা বিভাগে পেয়েছেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। পিপল।
Prev Post