জয়া আহসান একজন দক্ষ অভিনেত্রী। সেটা শুধু পর্দায় নয়, পর্দার বাইরেও তিনি ভালো অভিনয় করেন। নিজেকে আলোচনায় রাখতে নানা কৌশল করে বেড়ান। প্রায়ই তিনি ফাঁকা বুলি ছাড়েন। সম্প্রতি তিনি বলে বেড়াচ্ছেন, কলকাতার এস কে মুভিজের ব্যানারে তিনি একটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন। ছবিটির শুটিং লন্ডনে হবে দেখে নাকি তিনি প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। কারণ, তিনি ওই সময় ব্যস্ত থাকবেন ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী-টু’ ছবির শুটিং নিয়ে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। সম্প্রতি এস কে মুভিজ থেকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অপু বিশ্বাসকে। কারণ, তারা বাংলাদেশ থেকে একজন শীর্ষ নায়িকা খুঁজছেন, যাকে দিয়ে কলকাতার কোনো নায়কের সঙ্গে জুটি গড়বেন। উদ্দেশ্য বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বাজারে প্রবেশ। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে শীর্ষ নায়িকা অপু না হয় মাহি, কোনোভাবেই জয়া নন। এস কে মুভিজের সঙ্গে যোগাযোগ করেও একই তথ্য পাওয়া গেছে।
জয়া নিজেকে আলোচনায় রাখতে ফাঁকা বুলি ছাড়েন মাঝেমধ্যেই। এর আগে কলকাতার আর্ট-ফিল্ম ‘আবর্ত’তে অভিনয়ের পর জয়া বলে বেড়িয়েছেন, তাকে কলকাতার বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি গ্রহণ করেননি। অথচ জয়া বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ধারার ছবিতে অভিনয়ের জন্য আদা-জল খেয়ে নেমেছেন। তাই তার সেই ফাঁকা বুলি বুদ্ধিমানদের কাছে ধোপে টিকেনি। আর সম্প্রতি এস কে মুভিজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার ‘বুলি’ তো নয়ই। অবশ্য বাজারে ‘র’ আদ্যাক্ষরের একজন স্ক্রিপ্ট রাইটার এ ‘বুলি’ সত্যি করার জন্য বেশ গলা ফাটাচ্ছেন। ধরে ধরে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন_ এটাই সত্যি। কিন্তু তাতে লাভ হচ্ছে না।
জয়ার সমালোচনার ভিড়েও সম্প্রতি তিনি প্রশংসিত হয়েছেন একটি কারণে। সেটি হচ্ছে নাচ শেখা। ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ মুক্তির পর জয়ার নাচের দৈন্যতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। ছবির গানে না ছিল তার নাচ, না ছিল এঙ্প্রেশন। সব মিলিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা হয়েছিল। জয়া নিজেও ব্যাপারটা অনুভব করেছেন। তাই নাচ শিখছেন। কারণ এখন তার একমাত্র সম্বল ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী-টু’। এ ছবিতে যদি তিনি উৎরাতে না পারেন তাহলে ক্যারিয়ারে ফুলস্টপ পড়বে হয়তো।
Prev Post