বিতর্কিত সেই দৃশ্য নিয়ে জয়ার খোলামেলা আলোচনা

0

joiyaবাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার এসেছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায়। সেখানে অন্যান্য বিষয়ের সাথে এসেছে পশ্চিম বাংলার অভিনেতা সৃজিতের সাথে জয়ার সম্পর্ক ও ‘রাজকাহিনী’ ছবির সেই বিতর্কিত দৃশ্যের ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনা। এসেছে বাংলাদেশের ব্লগার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি। দুই বাংলার সিনেমায় তার বর্তমান কর্মকাণ্ডও উঠে এসেছে আলোচনায়। সেই সাক্ষাৎকারটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো :

নিবাস ঢাকার ইস্কাটন। না, আপাতত নিবাস যোধপুর পার্ক। বাংলাদেশি নায়িকা জয়া এহসান দুই বাংলাতেই এখন ঢেউ তুলছেন। কখনও সাহসী অভিনয়ে। কখনও সাহসী মন্তব্যে। ইন্দ্রনীল রায় তেমনই আবিষ্কার করলেন।

আপনার বাড়ির যে অ্যাড্রেসটা হোয়াটসঅ্যাপ করেছিলেন, সেটা দেখে বুঝতে পারছিলাম না আপনার ফ্ল্যাটটা কোথায়…
ওহ, আই অ্যাম সো সরি।

ঠিকানা বুঝতে না পেরে সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে ফোন করি। সৃজিত এক নিশ্বাসে জানাতেও শুরু করেছিলেন কোথায় আপনার বাড়ি। তার পর হঠাৎ বললেন, ‘‘এই, এটা আপনি বদমায়েশি করছেন না তো আমাকে জয়ার বাড়ির অ্যাড্রেস জিজ্ঞেস করে?’’
(হাসি) সৃজিত খুব সুইট।

আপনি বাংলাদেশের একজন বড় স্টার। এখানে নিজে চা বানাচ্ছেন। একা থাকছেন। নায়িকারা তো এমন জীবনে অভ্যস্ত নন শুনেছি।
আমি কিছু বড় স্টার নই। ও সব নিয়ে ভাবিও না। স্টার, অভিনেত্রী — এগুলো খুব বড় শব্দ। ওগুলো নিজেকে বলা মানে ধৃষ্টতা। আমি সামান্য শিল্পী। আর মনে করবেন না এটা বিনয় করে বলছি। মন থেকে এটাই বিশ্বাস করি।

বাংলাদেশে তো এই সময় ইলিশ ভাল পাওয়া যায়। আপনি রান্না করেন?
করি তো। তবে মাছের পদের থেকে নবাবি খাবার আমি বেটার বানাই। বিরিয়ানি, ভুনা, রেজালা, কোর্মা…

এ বার আপনাকে একটু অন্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করি?
নিশ্চয়ই।

‘রাজকাহিনী’ মুক্তি পাওয়ার পর, বাংলাদেশে আপনাকে নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায়। পুরোটাই ‘রাজকাহিনী’তে আপনার আর রুদ্রনীল ঘোযের ওই দৃশ্যটার জন্য।
(গম্ভীর ভাবে) হুমমম…

সেই সিনে কিছু ডায়লগ ছিল যাতে ‘যোনি’, ‘স্তন’ — এই শব্দগুলো ছিল…
হ্যাঁ, ভীষণ পাওয়ারফুল ডায়লগ ছিল সেগুলো। তবে আমি মনে মনে খুব পরিষ্কার ছিলাম।

অনেক বার স্ক্রিপ্টটা পড়েছিলাম। রিহার্সাল করেছিলাম। আমি মনে করি ওই সিনটার প্রতি ফুল জাস্টিস করতে পেরেছি।
আর আমি এখানে সৃজিতকেও কৃতিত্ব দেব, যে ভাবে ও পুরো সিনটা বা ডায়লগগুলো লিখেছিল। আর যারা এটা দেখে এত আপত্তি তুলছে, তারা যদি পুরো সিনেমাটা দেখত তা হলে হয়তো ওই সিনটার মাহাত্ম্য বুঝতে পারত। তবে এটার পাশাপাশি বলছি বাংলাদেশে র বহু মানুষ কিন্তু ওই সিন এবং পুরো ছবিটা দেখে আমাকে যথেষ্ট বাহবা দিয়েছেন। আমার কাছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ, সমালোচনার পাশাপাশি।

এই যে আপনার সিন নিয়ে এত আপত্তি, এটা নিয়ে তো আপনি আগে কথা বলেননি?
না, এই প্রথম আনন্দplus-কে জানাচ্ছি। না এখানকার কাগজে বলেছি, না বাংলাদেশের। আমার শুধু এটা মনে হয়েছে, অন্তত কিছু মাইন্ডকে তো আমি লিবারেট করতে পেরেছি। কেউ কেউ তো আছেন যাঁরা এটা থেকে অনুপ্রাণিত হবেন।

তার মানে আপনিও ‘মুক্তি’ যোদ্ধা?
(স্মিত হাসি) হয়তো এক অন্য প্রকারের মুক্তিযোদ্ধা আমি। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এবং আবার বলছি, ওই সিনটা করা নিয়ে আমার কোনও অপরাধবোধ ছিল না।

কিন্তু আপনাকে হুমকি দিয়ে বা আপনার নামে জঘন্য কথা বলে তো ইউটিউব কিছু ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছিল।
হ্যাঁ, জানি। আজকে খোলাখুলি ভাবে সব বলতে চাই। আমার নামে কিন্তু কোনও ফতোয়া জারি করা হয়নি। ওটা ভুল খবর ছিল। তবে প্রচুর বেনামী চিঠি, মেল আর এসএমএস-এ হুমকি এসেছিল সেই সময়। আমি ভয়ও পেয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না কাকে বলব।

তার পর?
তার পর আমাকে বাংলাদেশ সরকার থেকে প্রোটেকশন দেওয়া হয়। সেটার জন্য আমি ওদের কাছে কৃতজ্ঞ।

সেই সব মেল বা চিঠির মূল বক্তব্য কী ছিল?
ওই ‘এ বার দেশ ছাড়া করাতে হবে আপনাকে’ জাতীয়…

যে দিন সকালে এ রকম এসএমএস পাচ্ছেন, সে দিন বিকেলেই হয়তো খবর পেলেন ঢাকাতে একজন ব্লগারকে মেরে ফেলা হয়েছে। পুরো ব্যাপারটা তো ভয়াবহ?
হ্যাঁ, ভয় তো লাগবেই। তবে ওই যে বললাম, সরকার আমাকে প্রোটেকশন দিয়েছিল বলে অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম। তবে আবার বলছি, এটা যারা করে তারা কিন্তু একটা ক্ষুদ্র অংশ। আমার বক্তব্য হল, কোনও জিনিস কারও পছন্দ না হতেই পারে, কিন্তু সেটা নিয়ে তো আলোচনা করা যায়। আমরা তো স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশে থাকি যেখানে সব রকম মানুষ বাস করেন। সবার মত যে মিলতে হবে, তা তো নয়। ইউনিটি ইন ডাইভার্সিটি-টাই তো মূলমন্ত্র। বাকি জিনিসগুলো কি খুব প্রয়োজনের?

সেই সময় কলকাতা থেকে কেউ ফোন করেনি আপনাকে?
সৃজিত ফোন করেছিল। এ ছাড়াও কলকাতা থেকে আমার সহ-অভিনেত্রীরা ফোন করেছিল। বেশ কিছু পরিচালক ফোন করেছিলেন।

কখনও এটা ভেবে দেখেছেন, ‘রাজকাহিনী’তে সব প্রশংসা নিয়ে গেলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, আর আপনার কপালে জুটল যত বিতর্ক?
দেখুন, আমার কপালে কী জুটবে, সেটা তো আমি ছবি বানানোর আগে বুঝিনি। সত্যি বুঝিনি। আমি একটা মাল্টি-স্টারার ছবিতে কাজ করেছি যেখানে অথর ব্যাকড রোলটা ছিল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। তো তিনি যে লাইমলাইটটা পাবেন তাতে আর সন্দেহ কী! চ্যালেঞ্জটা অভিনেত্রী হিসেবে তখনই আসবে যখন ছোট রোলেও দর্শক আপনাকে মনে রাখবে। সে দিক থেকে আমি খুব লাকি।

আপনার ফ্যামিলিকে ‘রাজকাহিনী’ ছবিটা দেখিয়েছিলেন?
মাকে দেখিয়েছিলাম। মা এবং আমার ফ্যামিলি ভীষণ সাপোর্টিভ ছিল। তবে ওদের একটা স্বাভাবিক উদ্বেগ তো ছিলই। মা আমাকে কিছু বলেনি।

আচ্ছা, কখনও রিহার্সালের সময় কী সিনের আগে বলেননি ‘যোনি’ বা ‘স্তন’ শব্দগুলো চেঞ্জ করার কথা?
না, বলিনি। কেন বলব?

অনেক হিরোইন তো ডায়লগ বদলাতে ইনসিস্ট করেন।
আমি করিনি। আর ‘যোনি’ বা ‘স্তন’ তো নারীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। সেটা নিয়ে এত রাখঢাকের কী আছে বুঝিনি! আর এখানে আমি আমাদের দর্শকদেরও বলছি, একটা শিল্পকর্মকে বাঁচিয়ে রাখতে, সেটাকে ঠিকঠাক অ্যাপ্রিশিয়েট করার ক্ষেত্রে কিন্তু দর্শকদেরও দায় আছে। তাঁরাও যদি সঠিক পারস্পেকটিভে জিনিসটা দেখেন, তা হলে এ রকম ঝামেলা হয় না।

‘রাজকাহিনী’র মতো ছবি কি বাংলাদেশে বানানো সম্ভব?
সত্যি বলতে, সম্ভব নয়। ওখানে বোধ হয় এখনও মানুষের রুচিটা ভিন্ন। কলকাতায় দর্শকের রুচিটা তৈরি হয়ে গিয়েছে নানা রকম ছবি দেখার ক্ষেত্রে। ওখানে দর্শকরা এখনও অতটা তৈরি নয়। তবে পুরো ব্যাপারটা খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। দারুণ সব কাজ হচ্ছে ওখানেও।

বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রির কথা বলবেন? এখান মানুষের তো ওই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে প্রচুর কৌতূহল…
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রি এখন সত্যি ভালর দিকে এগোচ্ছে। যদিও বেশির ভাগ ছবি কমার্শিয়াল ঘরানার। সে জন্যই আমাদের মতো শিল্পীরা এপার বাংলায় এসে কাজ করছে।

প্রচুর ইন্দো-বাংলা জয়েন্ট কোলাবরেশনেরও তো ছবি হচ্ছে?
হ্যাঁ, হচ্ছে। কিন্তু তাতে কতটা লাভ হচ্ছে, আমার জানা নেই। কারণ, আমি সেই রকম ছবি এখনও অবধি করিনি। আর যেটা দেখি, হয় সেই ছবিগুলো বাংলাদেশে চলছে, এখানে ফ্লপ। অথবা ভাইস ভার্সা। তাই জয়েন্ট কোলাবরেশন নিয়ে আমি হয়তো অতটা আশাবাদী নই। তবে আমাদের ওখানকার একটা ব্যাপার এখন খুব ভাল। আমাদের সরকার নানা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবিকে দুর্দান্ত সাপোর্ট করছে। তা ছাড়া বাংলাদেশের কিছু ছবির মান হয়তো খারাপ, কিন্তু ছবি বানানোর ক্ষেত্রে অনেস্টিটা সাঙ্ঘাতিক।

বুঝলাম…
আমি ব্লগারদের মৃত্যু নিয়ে আর একটু কিছু কি বলতে পারি?

প্লিজ বলুন…
বাংলাদেশে ব্লগারদের মৃত্যু সত্যি খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের দেশ তো এমন দিন দেখার জন্য স্বাধীন হয়নি। ধর্ম অনেকেই মানে। অনেকে আবার মানেও না। আমি মানি। যারা মানে আর যারা মানে না — তাদের মধ্যে ‘বহস’ হতে পারে। সুস্থ মতবিরোধ থাকাটা তো ভাল জিনিস। দু’পক্ষই ভিন্ন মত পোষণ করেও তো পাশাপাশি থাকতে পারে। তাই নয় কি? হত্যাটা কি কোনও সলিউশন? মনে হয় না। এটা কাম্যও নয়।

আপনি তো বাংলাদেশের এমন একজন নাগরিক যিনি ভারতের যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। কখনও মনে হয়নি দিল্লি গিয়ে তসলিমা নাসরিনের সঙ্গে দেখা করি?
খুব ইচ্ছে হয়। সুযোগ পাইনি। ওঁর ব্যাপারে প্রায় সব খবরই আমরা রাখি। আমি তো রাখি…

চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘নির্বাসিত’ দেখেছিলেন?
না, ‘নির্বাসিত’ দেখিনি। তবে ওঁর নির্বাসিত হওয়াটা মেনে নিতে কষ্ট হয় আমার। আমাদের সবার সঙ্গে সবার মত না-ও মিলতে পারে। সেটাই স্বাভাবিক, সেটাই ন্যাচারাল, কিন্তু সেটার জন্য একজন মানুষ তাঁর নিজের দেশে ফিরতে পারবেন না — এটা বড় দুঃখের। খুব কষ্টের।
কলকাতার ইনিংস তো শুরু হয়েছিল অরিন্দম শীলের ‘আবর্ত’ দিয়ে। তা হলে, বাংলাদেশ বিমান না অরিন্দম শীল — এ দেশে আপনাকে আনার জন্য কে বেশি রেসপনসিবল?
(হাসি) নিঃসন্দেহে অরিন্দম শীল। যখন অরিন্দমদা অ্যাপ্রোচ করেন, তখন তিনি কোনও ছবি পরিচালনা করেননি। আমি একটু অ্যাপ্রিহেনসিভ ছিলাম। তবে ‘আবর্ত’র জন্যই এই জায়গাটা পেয়েছি।

এখানে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি আপনার সঙ্গে ‘আবর্ত’তে কাজ করেছেন বা সৃজিত কী অরিন্দম শীল — সবাই কিন্তু আপনাকে দুর্দান্ত অভিনেত্রী বলে থাকেন।
এটার জন্য আমি কৃতজ্ঞ ওদের কাছে। আমি ভাল অভিনেত্রী কি না জানি না, তবে কাজটা অসম্ভব মন দিয়ে করি।

শুনেছি বাংলাদেশে থাকলে সৃজিত প্রায়ই আপনাকে ফোন করেন?
(হাসি) ও তো বন্ধু। আমাকে ফোন করতেই পারে।

একসঙ্গে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পার্টিতেও এসেছিলেন গত বছর?
হ্যাঁ, গিয়েছিলাম ওর সঙ্গে পার্টিতে।

তার আগের দিন পরমব্রত আপনার ফোন নম্বর নিয়েছিলেন বলে, সৃজিত নাকি মনকষাকষি করেছিলেন পরমের সঙ্গে।
(হাসি) তাই নাকি? এটা জানি না।

সৃজিত তো বিয়েও করতে চেয়েছিলেন আপনাকে?
আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল কি না জানি না। তবে ও জিজ্ঞেস করেছিল, কবে আমি বিয়ে করব? বা বিয়ে নিয়ে আমার মত কী? এই আর কী…

আপনার কথা বললেই কিন্তু ব্লাশ করেন সৃজিত…
ও কিন্তু ভাল অভিনেতা। অনেকের কথা শুনলেই হয়তো ব্লাশ করে। আমি খুব ঘরকুনো। আটপৌরে।

কবিতা পড়েন?
না, কবিতা অত পড়ি না। আমার বেশি পছন্দ গদ্য।

প্রিয় লেখক কে?
প্রিয় লেখক যদি বলতে হয়, তা হলে তিনজনের নাম করব। রশিদ করিম, হাসান আজিজুল হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। এ ছাড়া সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তো আছেনই।

আচ্ছা, অন্য প্রসঙ্গে ফিরি। নতুন কী কাজ করছেন কলকাতায়?
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা চলছে ওর পরের ছবির ব্যাপারে।

আপনি কি ‘কণ্ঠ’ ছবিটার কথা বলছেন? সেই ছবিতে তার মানে আপনি আর কোয়েল?
কোয়েলের ব্যাপারটা আমি ঠিক জানি না। ওটা শিবপ্রসাদ বলতে পারবে।

এই ইন্টারভিউ বেরোনোর পর তো কলকাতার নায়িকারা আপনাকে নিয়ে ইনসিকিওর্ড হয়ে যাবেন…
কেন?

একে ‘বাস্তু-শাপ’‌য়ের প্রিমিয়ারে আপনাকে দেখে অনেক নায়ক-পরিচালক চমৎকৃত হয়ে গিয়েছেন। তার উপর সৃজিতের পরে শিবপ্রসাদের ছবি। ইনসিকিওর্ড তো হওয়ারই কথা!
এ বাব্বা, এরকম করে বলবেন না। কলকাতার সবাই খুব ভাল অভিনেতা-অভিনেত্রী। কলকাতার অ্যাভারেজ অভিনয়ের মানটাই অনেক বেশি। আর সবাই তো আমার বন্ধু। কেউ আমাকে নিয়ে ইনসিকিওর্ড নয়।

কলকাতার সমসাময়িক তিনজন অভিনেত্রীর নাম বলুন, যাঁদের অভিনয় আপনার ভাল লাগে।
প্রথমেই বলব সোহিনী সরকারের কথা। অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ও দারুণ লাগে। আর প্রিয়াঙ্কা।

আর হিরোদের মধ্যে? পরম, যিশু, আবীর — এই তিন জনের মধ্যে হট কোশেন্টে কে এগিয়ে থাকবেন?
এই রে! এটার উত্তর দেওয়া একটু মুশকিল। আবীর আমার প্রথম হিরো। পরম ভাল অভিনেতা। এখন তো বাংলাদেশেও ছবি করছে ও। আর যিশুদা আজকে তো অভিনেতা হিসেবে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে বহু বছরের অভিজ্ঞতার সাহায্যে। এটাই আমার অ্যাসেসমেন্ট। প্লিজ একটু ডিপ্লোম্যাটিক থাকতে দিন।

আচ্ছা, এই যে কলকাতায় একা থাকেন এটা তো সবাই জানেন। নায়ক থেকে পরিচালক- আপনাকে ডিসটার্ব করেন না?
এম্মা, ডিসটার্ব করবে কেন! আর আজকেই আমি একা। না হলে আমার মা থাকেন। আমার বাকি আত্মীয়স্বজনও থাকেন। মোটেই একা থাকি না তাই ডিসটার্বেন্সের প্রশ্নই ওঠে না। আমি এই বেশ ভাল আছি। সিঙ্গল।

বয়ফ্রেন্ড নেই বলছেন?
(হাসি) একেবারে নেই।

এটা শুনলে সৃজিত ছাড়াও কলকাতার কিছু নায়ক খুশি হবেন। হোয়াটসঅ্যাপ আর এসএমএসের ঝড় বয়ে যাবে। আজকে দুপুরেই প্রোপোজও করতে পারেন আপনাকে কেউ কেউ …
আমাকে তো কেউ কিছু পাঠায় না। (হাসি) অনেক দিন তো শুনিনি কিছু। দেখি এই ইন্টারভিউটা বেরোনোর পর কী হয়, জানাব আপনাকে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More