অভিশপ্ত রাত আর্জেন্টিনার, টাইব্রেকারে চ্যাম্পিয়ন চিলি

0

চিলি[ads1]কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চিলি। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও গোলের দেখা পায়নি দুই দল। ফলে, ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর তাতে ৪-২ গোলের ব্যবধানে জয় তুলে নেয় চিলিয়ানরা।নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। ফলে, অতিরিক্ত ৩০ মিনিট লড়তে হয় দুই ফাইনালিস্টকে। প্রথমার্ধের খেলায় দুই দলের একজন করে ফুটবলার লাল কার্ড দেখায় দশ জনের দলে পরিণত হয় গতবারের দুই ফাইনালিস্টকে।সোমবার (২৭ জুন) নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও চিলি। বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামে দু’দলের ফুটবলাররা।ম্যাচের ১৬ ও ২৮ মিনিটে দু’বার হলুদ কার্ড দেখায় মাঠের বাইরে যেতে হয় চিলির মার্সেলো ডিয়াজকে।

আর ম্যাচের ৪৩ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার মার্কোস রোহোকে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়।দীর্ঘ ২৩ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে চাওয়া আর্জেন্টিনা ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনাল, কোপা আমেরিকার গতবারের ফাইনালের মতো এবারের ফাইনালের প্রথমার্ধে কোনো গোল আদায় করতে পারেনি। ম্যাচের ২৩ মিনিটের মাথায় ‍হিগুয়েনের দারুণ একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। চিলির গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভোকে ফাঁকি দিয়ে তার নেওয়া শটটি গোলবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।ম্যাচের ৪০ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্টাইন দলপতি মেসি। প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চিলি। ৫৭ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখেন অ্যালেক্সিজ সানচেজ, ভারগাস, ভিদালরা।[ads1]

১৯৯৩ সালে সবশেষ কোপা শিরোপা জেতা আর্জেন্টিনাকে প্রথমার্ধে হতাশ করে ১৯৫৫, ১৯৫৬, ১৯৭৯ ও ১৯৮৭ সালে ফাইনালে ওঠা চিলি। প্রথম ৪৫ মিনিট খালি হাতেই ফিরতে হয় ১৪ বারের কোপা চ্যাম্পিয়নদের।প্রথমার্ধে ৪-৩-৩ ফরমেশনে আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো প্রথম একাদশে মাঠে নামান সার্জিও রোমেরো, মারকাডো, অটামেন্ডি, মোরি, লুকাস বিগলিয়া, মাশচেরানো, মার্কোস রোহো, এভার বেনেগা, লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া এবং হিগুয়েনকে। অপরদিকে, একই ফরমেশনে চিলির হয়ে প্রথমার্ধে মাঠে নামেন ক্লদিও ব্রাভো, ইসলা, মেডেল, জারা, বিউসেজোর, ভিদাল, ডিয়াজ, আরানগুয়েজ, ফুয়েনজালিডা, সানচেজ এবং ভারগাস।বিরতির পর ম্যাচের ৫০ ও ৬৭ মিনিটে দুটি জোরালো আক্রমণ করে চিলি।

তবে, দু’বারই আর্জেন্টাইন ডিফেন্সে বাধা পেয়ে ফিরতে হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে ডি মারিয়ার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মাতিয়াস ক্রানেভিতের। আর ৭০ মিনিটে হিগুয়েনের জায়গায় খেলতে নামেন সার্জিও আগুয়েরো।৭৯ মিনিটের মাথায় প্রায় নিজেদের অর্ধ থেকে বল পান চিলির তারকা ভারগাস। আর্জেন্টাইন ডি-বক্স ফাঁকা পেয়ে বামপায়ের জোরালো শটও নেন তিনি। তবে, প্রস্তুত ছিলেন গোলরক্ষক রোমেরো। ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে গোলের হাত থেকে বাঁচানোর সাথে সাথে ভারগাসের চেষ্টা নষ্ট করে দেন তিনি।৮৪ মিনিটের মাথায় স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৮২ হাজারের বেশি দর্শককে অবাক করে দেন ইংলিশ প্রিমিয়ারের সেরা স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো। ম্যানসিটির আর্জেন্টাইন এই তারকা চিলির ডি-বক্সে বল পেয়ে যে শটটি নেন সেটি গোলবারের অনেক বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।[ads1]

আগুয়েরোর সামনে শুধুই বার্সেলোনার চিলিয়ান গোলরক্ষক ব্রাভো ছিলেন।৯০ মিনিটে চিলিকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন সানচেজ। কাউন্টার অ্যাটাকে চিলির ডি-বক্সে প্রবেশ করে মেসির জোরালো শট বাইরে চলে যায়।নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কোনো গোল না হলে ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।ম্যাচের ৯৮তম মিনিটে চিলির আরেকটি সুযোগ নষ্ট করে দেন দুর্দান্ত কিছু সেভ করা আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক রোমেরো। ভারগাসের হেড থেকে ছুটে যাওয়া বল ঝাঁপিয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন রোমেরো। পরের মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক থেকে হেড করেন আগুয়েরো। ক্লদিও ব্রাভো পরাস্ত হলেও চিলির গোলবারের উপরের অংশে লেগে বল বাইরে চলে যায়।অতিরিক্ত সময়েও কোনো গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।[ads2]

[ads1]

[ads1]

[ads2]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More