এখন সিরিজ জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ

0

cricket teamজিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে চলতি চার ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুইটিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আজ আবার জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজটা পকেটস্থ করবেন মাশরাফিরা। আসলে জিম্বাবুয়ের দিনকালও ভালো যাচ্ছে না। আরব আমিরাতে কিছু দিন আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছে তারা। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে উভয় দল এ সিরিজকে পরীক্ষামূলক ধরে নিলেও মনে মনে জয় সবারই কাম্য। চার ম্যাচ সিরিজের ২-০ জয়ী হয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। তাই তাদের গবেষণার মাত্রাও বেশি হতে পারে। অন্য দিকে জিম্বাবুয়ে ব্যাকফুটে থাকলেও আশায় বুক বেঁধে আছে সিরিজে সমতা আনার। এ জন্য তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করবে এটাই প্রত্যাশিত। বিপরীতে বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ কয়েকজন সদস্য আজকের ম্যাচে খেলতে না পারলেও নতুনরা তাদের জায়গায় সেরাটা দিতে বদ্ধপরিকর। খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আজ বেলা ৩টায় শুরু হচ্ছে তৃতীয় ম্যাচ। এ ম্যাচ শেষে নির্ধারণ হয়ে যাবে টাইগারদের সিরিজ জয় নাকি জিম্বাবুয়ের ব্যবধান কমানো।

বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন বিষয়ে এখনো ঘোষণা দেয়ার পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেননি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে একটা পর্যায়ে পৌঁছলেও তার নিজের এবং মোস্তাফিজুরের ইনজুরিতে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে দলনেতাকে। মাশরাফির বদলে ইমরুল এবং মোস্তাফিজুর ও আল আমিনের জায়গায় তাসকিন ও মোহাম্মদ শহীদ কতটুকু কার্যকরী হবেন। যেহেতু সিরিজ প্রায় হাতের মুঠোয়, তাই একটু ভিনøভাবেই ভাবতে চাচ্ছে বাংলাদেশ দল। তামিম ও সৌম্য ওপেনে একটু ভালো করলে এবং বাকিরা মনোযোগী হলেই গবেষণার রূপ দিতে পারবেন মাশরাফি। আর বোলিংয়ে মোস্তাফিজের সমকক্ষ কেউ না হলেও তাসকিন চাইছেন তার সেরাটা দিতে। শহীদও আল আমিনের চেয়ে কম যেতে চাইবেন না। নতুন কম্বিনেশনেও সিরিজ নিশ্চিত করতে মাঠে নামবে মাশরাফি বাহিনী। কথার ছলে অধিনায়কের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো ‘আমার কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। দলের সবাই জানেন কার কী করা লাগবে। ২-০ তে এগিয়ে থেকে কেউ নিশ্চই সিরিজে সমতা চাইবে না। একাদশে যেই থাকুক ব্যাটসম্যান হিসেবে চাইবে রান নিতে আর বোলাররা চাইবে উইকেট।’
এক বছরে বাংলাদেশ দল গড়ে ৫৩.৭ ভাগ রান করেছে বাউন্ডারি থেকে। প্রথম ম্যাচে অর্ধেক রান এসেছে চার ছয়ের মার থেকে। টি-২০তে এ জাতীয় ব্যাটিং আনন্দ দিলেও এক রান, দুই রান স্কোরকে সমৃদ্ধ করে। দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা গেছে ওপেনিং জুটিতে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার দর্শনীয় শট খেললেও সিঙ্গেল না নেয়ার কারণে আনুপাতিকহারে কম রান হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় টি-২০তে আনামুল হক বিজয় ৫১ বল খেলে করেছেন ৪৭ রান। সে সময় এ নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সমালোচনাও শুনতে হয়েছে। সাত ব্যাটসম্যান পৌঁছাতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে। ফলে ১৩৫ রানে থামতে হয় বাংলাদেশকে। পরে আল আমিনের তিন উইকেট প্রাপ্তি সত্ত্বেও ম্যাচ হারতে হয় মাশরাফিদের। ডটবল বেশি হওয়ায় ওই ম্যাচটি জিম্বাবুয়ে এক বল বাকি থাকতে তিন উইকেটে জয়ী হয়। ব্যাটসম্যানরাও সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন সৌম্য সরকার, ‘পরের ম্যাচগুলোতে চেষ্টা থাকবে বল নষ্ট না করার। একটি বাউন্ডারির সাথে যদি একটি বা দুইটি রান যোগ হয়, তাহলে স্কোর সমৃদ্ধ হয়।’
আবু নাসের স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৬ সালে টি-২০ অভিষেক ম্যাচে ৪২ রানে, চলতি বছর ১৪ জানুয়ারি ৪ উইকেটে এবং ১৭ জানুয়ারি ৪২ রানে জয়ী হয় বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ তিন উইকেটে ১৬৭ রান বাংলাদেশের দখলে। সর্বনিম্ন স্কোর জিম্বাবুয়ের, ৯ উইকেটে ১২৩। এ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাতবার মুখোমুখি হয়েছে টাইগাররা। তন্মধ্যে বাংলাদেশের জয় পাঁচবার। ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে এবং ২০১৫ সালে ঢাকার সিরিজ দুইটি ১-১ এ সমতায় ছিল। এবারো চার ম্যাচের সিরিজে ২-০তে এগিয়ে মাশরাফিরা। তবে ব্যবধান কমাতে চান জিম্বাবুইয়ান কোচ ডেভ হোয়াটমোর, ‘আগের টি-২০ সিরিজে ১-১ সমতা ছিল। সেটিই প্রেরণা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More