গার্দিওলা-বায়ার্নকে জাদু দেখালেন মেসি

0

messiঢাকা: পেপ গার্দিওল ঠিকই জানতেন, তার সাবেক ছাত্র জ্বলে উঠলে কেউই তাকে আর বাধা দিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি জানতেন, তার সাবেক ছাত্র রয়েছেন ফর্মের তুঙ্গে। সুতরাং, আটকানো কঠিন। এই সাবেক ছাত্রটির নাম, লিওনেল মেসি। সাবেক গুরুর কথা সত্যি প্রমান করলেন তিনি। তার ম্যাজিকেই ন্যু ক্যাম্পে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে বার্সেলোনা।

ন্যু ক্যাম্পে বার্সার বিপক্ষে বায়ার্নই সেরা। আগের চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছিল বার্সা। ইতিহাস আর পরিসংখ্যান তাই মেসিদের বিরুদ্ধে। তার ওপর, পেপ গার্দিওলা তো জানতেন, মেসিকে কোন পদ্ধতিতে আটকানো যাবে! জানলেও, সেটা যে মাঠে প্রয়োগ কষ্টসাধ্য হবে, সেটা ম্যাচের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন গার্দিওলা।

তবুও চেষ্টা করেছিলেন মেসিকে রুখে দিতে। সাথে পুরো বার্সাকেও। গার্দিওলা হয়তো প্ল্যান করেছিলেন, ন্যু ক্যাম্পে দিতে পারি, না পারি গোল হজম করবো না। এ কারণেই ৭৭ মিনিট পর্যন্ত রাখতে পেরেছিলো তার বায়ার্ন মিউনিখ। আবার শত চেষ্টা করেও বার্সার গোলমুখ খুলতে পারেনি বায়ার্নের আক্রমণভাগ।

খেলা যখন গোলশূণ্য ড্র দিয়েই শেষ হতে যাচ্ছিল, এ সময় হঠাৎ জ্বলে উঠলেন মেসি। তিন মিনিটের ব্যবধাসে দু’বার বায়ার্নের রক্ষণ ভেঙে তছনছ করে দিলেন তিনি। এরপর শেষ মুহূর্তে যে গোলটি নেইমার করলেন, সেমিতেও অবদান ছিল মেসির।

বার বার চেষ্টার পরও যখন গোল করা যাচ্ছিল না, তখন হঠাৎই দুর্দান্ত মেসির দেখা পাওয়া গেলো। ৭৭ মিনিটে দানি আলভেজের পাস থেকে বল পেয়েই বাম পায়ের মাপা শটে বায়ার্নের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।

তিনি মিনিট যেতে না যেতে আবারও মেসি জাদু। এবারও ছিলেন আরও অসাধারণ। ৩০ গজ দুরে বলের দখল নেন মেসি। এরপর বায়ার্ন ডিফেন্ডার জেরোমে বোয়েটাংকে এক ড্রিবলিংয়েই মাটিতে লুটিয়ে ফেলেন মেসি। এরপর ডান পায়ের টোকায় ন্যুয়ারের মাথার ওপর দিয়ে বায়ার্নের জালে বল জড়ান তিনি।

শেষ মুহূর্তে বায়ার্ন যখন গোলের জন্য মরিয়া, তখন আবারও গোল করে জয় নিরঙ্কুশ করে নেন নেইমার। এবার গোলের যোগানদাতা মেসি। বল পেয়ে মেসি ফাঁকায় থাকা নেইমারকে পাস দিলে অনেকদুর দৌড়ে গিয়ে বায়ার্নের জালে বল জড়িয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।

৩-০ গোলের ব্যবধানে জিতলেও বল দখলের লড়াইয়ে বায়ার্নের চেয়ে পিছিয়ে ছিল বার্সেলোনা। বায়ার্নের বল দখলের পরিমান ৫৪ ভাগ এবং বার্সার বল দখলের পরিমান ছিল মাত্র ৪৬ ভাগ। জয়-পরাজয় যাই হোক, এই একটি ক্ষেত্রে বার্সার গৌরব ছিল সেই ২০০৬ সাল থেকে। বল দখলে তারা সব সময়ই থাকত এগিয়ে। কিন্তু প্রায় ৯ বছর পর এই প্রথম কোন ম্যাচে বল দখলে পিছিয়ে পড়ল বার্সা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত মৌসুমে এই ক্যাম্প ন্যুতেই সেমিফাইনালে বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে হারের লজ্জায় ডুবিয়েছিল বায়ার্ন। এর আগে নিজেদের মাঠে ৪-০ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে ৭-০ গোলের বিশাল জয় পেয়েছিল তারা। সেই হারের প্রতিশোধের অর্ধেকটা নিয়েই আগামী সপ্তাহে বায়ার্নের আলিয়াঞ্জ এরিনায় খেলতে যাবে বার্সেলোনা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More