ঘরের মাঠের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে সেই কবেই। ঘরের মাঠ, বাইরে গিয়ে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ যুবারা। প্রায় সবখানেই মিলেছে সাফল্য। এবার আসল লড়াই শুরুর অপেক্ষায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। যে লড়াই শুরু হচ্ছে বুধবারই। যুব বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে মেহেদি হাসান মিরাজরা। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বলে দিকাহারা হয়ে পড়ছে না বাংলাদেশ। হোম-অ্যাওয়ে দুই জায়গাতেই প্রোটিয়া যুবাদের হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের রদস যুগিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের ভবিষ্যত কান্ডারিরা। তাই তো এই ম্যাচ নিয়েই বসে বাংলাদেশ যুবারা। দৃষ্টি অনেক দূরে এগিয়ে রাখছেন তারা। প্রথম ম্যাচের আগে তেমনই জানালেন বাংলাদেশ যুব দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। ঘরের মাঠের চাপকে জয় করে ইতিহাস গড়তে চান তিনি। এমন কিছু করে দেখাতে চান যেন অনেকদিন পরও বাংলাদেশের এই যুব দল নিয়ে মানুষ গর্ব করতে পারে। বাংলাদেশ কখনোই যুব বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেনি। এবার তাই সেদিকেই নজর মিরাজের, ‘আসলে অনূর্ধ্ব-১৯ কখনও ভালো করতে পারেনি সেভাবে। আমাদের চাওয়া থাকবে যে এবার আমরা এমন একটা কিছু করি যেন লোকে অনেকদিন পরও বলে ওই অনূর্ধ্ব-১৯ দলটি এত ভালো করেছ, ওরা বাংলাদেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছে। এটাই থাকবে আমাদের লক্ষ্য।’ তবে এই পথে চাপকে সঙ্গী করতে চান না মিরাজ, ‘আমরা বাইরের কোনো কথায় ফোকাস দিচ্ছি না। সেরকম কোনো চাপ নেই। মানুষের আশা তো অবশ্যই বেশি। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ, সবাই চায় আমরা ভালো করি। আমাদের পারফরম্যান্সও বলে দিচ্ছে যে আমরা ভালো করছি। সবার আশা থাকবেই। আমাদের সেই আত্মবিশ্বাস আছে।’ গত কিছু দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পর্কে বেশ ভালোই ধারণা হয়েছে মিরাজদের। আছে সুখস্মৃতিও। তাই বলে ম্যাচের আগে নির্ভার থাকছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পর্কে জানি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছি বলে হালকা করে নেয়ার কিছু নেই। একটু রিল্যাক্স থাকলেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সিরিয়াস থাকতে হবে যে এটিই শেষ ম্যাচ। আগের জয়-হার ভুলে যাব, এই ম্যাচ জিততে চাইব আমরা।’