বিপিএলের দ্বিতীয় দিনে সিলেট সুপারস্টার্সের দুই বিদেশি খেলোয়াড়ের মাঠে নামা নিয়ে দলটির চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়েছিল চট্টগ্রাম ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম ইকবালের। জাতীয় দলের ওপেনার অভিযোগ করেছিলেন, তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তাঁর বাবা-মাকে তুলে গালাগাল করেছিলেন আজিজুল ইসলাম। যদিও পরদিন এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন সিলেট সুপারস্টার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও আজিজুল-পুত্র আজিমুল ইসলাম। তখনই এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তদন্তে দুই পক্ষেরই দোষ খুঁজে পেয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সিলেট চেয়ারম্যানের পাশাপাশি শাস্তি হতে পারে তামিমেরও।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির অন্যতম পরিচালক ও শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সোহেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রায় দেড় মাসের তদন্তের পর আমরা জানতে পেরেছি অপরাধ দুপক্ষেরই। তাই দুই পক্ষই শাস্তি পাবে। সেটা হতে পারে আর্থিক জরিমানা।’
বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে অনেকের সঙ্গেই কথা বলতে হয়েছে আমাদের। তামিম জাতীয় দলের খেলোয়াড়, কিন্তু তাঁর মধ্যে আমরা ধৈর্য্যের অভাব দেখেছি। তাঁর মতো খেলোয়াড়ের আচরণ আরো সংযত হওয়া উচিত ছিল। আর সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজ কর্মকর্তা কীভাবে মাঠে ঢুকে কথা বলেন, সেটাও আমরা আমলে নিয়েছি। এই কারণে তিনিও শাস্তি পাবেন।’
তবে কী শাস্তি হবে তা জানাতে পারেননি শেখ সোহেল, ‘এখনই শাস্তির বিষয়ে বলা যাচ্ছে না। তবে দুই পক্ষই যে শাস্তি পাচ্ছে তা বলাই যায়।’