বিশ্বকাপের জমকালো উদ্বোধন

0

108692_1-2অবশেষে শেষ হলো ২৩ বছরের অধীর অপেক্ষার। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর ফিরল আপন ঠিকানায়। জমকালো সব আয়োজনে ঐতিহাসিক মুহূর্তটি চিরস্মরণীয়ও করে রাখল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। দুই যুগেরও বেশি সময় অপেক্ষার অবসানলগ্ন উদযাপনে কোনো কার্পণ্যই করেনি দেশ দু’টি। সবই ছিল ২০১৫ সালের আইসিসি বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কার্যতালিকায়। যৌথ আয়োজক নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া আলাদাভাবে আয়োজন করল উদ্বোধন মহাযজ্ঞ। সবই প্রস্তুত ছিল অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধন পর্বের। ক্রাইস্টচার্চের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন পর্ব শেষ না হতেই তাসমান সাগর পেরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে উঠল বিশ্বকাপের দামামা। রঙ-বেরঙের লেজাররশ্মির কারিশমায় অপরূপ সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত হলো মায়ার মিউজিক বোল। দেশটির বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী, সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা, স্থানীয় সংস্কৃতি ও আতশবাজির চোখধাঁধানো উৎসবেই দীর্ঘ ২৩ বছরের অপেক্ষা অবসানলগ্নকে চিরস্মরণীয় করে রাখল ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দেশগুলোর ক্রিকেটারদের মঞ্চে প্রবেশের মধ্য দিয়েই সূচনা হয় মেলবোর্নের উদ্বোধন পর্বের। শুরুতেই মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্ব সাল-সবুজ পতাকা হাতে মঞ্চে উপস্থিত হন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। পর্যায়ক্রমে দলগুলোর পরিচিতি শেষের পরই উদ্বোধনের বিনোদন পর্ব শুরু হয়। এবং বাদ্য ও সুরের মিশনে বাঁধভাঙা উন্মাদনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। বিশ্বখ্যাত পারফরমার জেসিকা ও নাথানিয়ালের পারফরম্যান্স সবার হৃদয়ে তুলল আনন্দের ঢেউ।  জাতীয় সঙ্গীত পারফরমের মধ্য দিয়ে স্টেজের পরিবেশনার ইতি ঘটান অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি সঙ্গীতকার ড্যারেল। অবশ্য তখনো বাকি অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব। মেলবোর্নের রাতের আকাশ প্রজ্বলিত হলো আতশবাজির উৎসবে। রাতের আকাশের পানে চেয়ে শিহরিত হলেন আগত দর্শকেরা। সবশেষে স্টেজের সবটুকু অংশই দখলে নেয় জায়ান্টস্ক্রিনে ভেসে ওঠা ব্যাট হাতের মানবাকৃর্তির ভাস্কর্য। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি পার্কের জমকালো মঞ্চে তার আকস্মিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সময় গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় এবারের বিশ্বকাপের। স্থানীয় সংস্কৃতি, সঙ্গীত ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর স্বরূপ উন্মোচনে পুরো বিশ্বকেই চমকে দিতে সক্ষম হলেন দেশটির আয়োজকরা। শিশু পারফরমারদের হাত ধরে একের পর এক বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটারের মঞ্চে আবির্ভাবে উন্মাদনার ঢেউ খেলে গেল ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি পার্কে। দর্শকে টইটুম্বুর স্টেডিয়ামে মুহূর্তের মধ্যেই পিনপতন নীরবতা ফিরল নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে পুরনো জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত মাউরিদের আল্পনায় আবৃত মুখাববয়ের আগমনে। তারা সাদরে অভ্যর্থনা জানান এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া প্রতিটি দেশকেই তার নিজস্ব সংস্কৃতির আলোকে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More