যে কারনে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশের না আসার এমন সিদ্ধান্ত?

0

AUS paponশুক্রবার ঈদের দিন হলেও ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পশু কোরবানি দেন শনিবার। তাই গুলশানে নিজের বাসায় ঈদের ছুটির আয়েশেই ছিলেন কিশোরগঞ্জের এই এমপি।

কিন্তু সন্ধ্যার আগে আগে সবকিছু এলোমেলো করে দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশে না আসার খবরে। সন্ধ্যার পর গণমাধ্যমের ভিড় লেগে গেলো গুশলানের আইভী টাওয়ারে।

নাজমুল হাসান তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কথা বলা শুরুই করলেন বিস্ময় নিয়ে। শুরুতেই বললেন ‘আমি তো কিছুই বুঝলাম না। ‘সিকিউরিটি কনসার্ন’ দেখিয়ে কেউ আমাদের সঙ্গে খেলতে আসবে না এটা আমি মানতে পারছি না।’

‘পরিস্থিতি যখন আসলেই অস্বাভাবিক ছিলো তখনো ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান এমনকি সাউথ আফ্রিকার মতো দলও এসে সিরিজ খেলে গেছে। আর এখন চূড়ান্ত স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে ‘ঝুঁকি’ বলছে তারা। এটা খুবই দুঃখজনক।’

তবে কি অন্য কেউ কলকাঠি নাড়ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বোর্ড প্রেসিডেন্ট না সূচক মাথা নাড়েন।

তিনি মনে করেন ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান এমনকি অস্ট্রেলিয়া বোর্ডের সঙ্গেও তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই উষ্ণ। তাই বিপদে ফেলতে সিএ এমন সিদ্ধান্তে যেতে পারে না বলেই মনে করেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট।

তাহলে আর কি কারণ থাকতে পারে? এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে ব্রিফিং শেষ করেন পাপন।

বলেন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আগে কথা বলে মুখ খুলবেন তিনি। কিন্তু বোর্ড সভাপতি কিছু না বললেও ক্রিকেট বিশ্বে গুঞ্জন উঠে গেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সিরিজ নিশ্চিত হওয়ার পর পরই অস্ট্রেলিয়ার এমন সিদ্ধান্তের পেছনে কাজ করেছে আরও দুটি বোর্ড। তারা হলো ভারত এবং শ্রীলংকা।

মূলত তাদের সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্ক ভালো নেই। ভারতকে বয়কট করার হুমকি দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। শুক্রবার এই খবর প্রকাশের পর বিরক্তি দেখিয়েছে বিসিসিআইও। আর সব সময়ের মতো ভারতের সঙ্গে লংকান বাের্ডের সম্পর্ক মধুর।

সুতরাং সব মিলিয়ে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ বাতিল হওয়ার ষড়যন্ত্রে ভারত-শ্রীলংকার হাত রয়েছে এমন আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More