ডিমের নানা পুষ্টিগুণের কারণে হঠাৎ মাথা ঘোরা, শরীরের দুর্বলতা দূর বা কোনো অসুখ থেকে সেরে ওঠার সময় রোগীর পথ্য হিসেবে প্রথমেই আমরা বেছে নেই ডিম। কিন্তু অধিক পুষ্টিকর এই খাবারটি আপনার দেহের জন্য সিগারেটের মতোই ক্ষতিকর হতে পারে। কানাডার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক তাদের গবেষণার মাধ্যমে এমনই তথ্য দিয়েছেন।
এক হাজার দুশো নর-নারীর ওপর তারা একটি গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি ডিম একটি সিগারেটের ক্ষতির তিন ভাগের দুই ভাগ পর্যন্ত করতে পারে। যাের ফলে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। বিশেষ করে যারা দিনে দুইটির অধিক ডিম খায় তাদের এই ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেশি।
বিষয়টি সম্পর্কে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের এমডি গর্ডন থমাসেলি বলেন, ‘ডিম শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টির উৎস। তবে ডিমের কুসুম শরীরে মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরলের যোগান দেয়। এই কোলেস্টেরল হার্ট ব্লক, রক্তনালী সংকোচন অর্থাৎ উচ্চরক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই প্রতিদিন তিন থেকে চারটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস সিগারেট খাওয়ার মতই ক্ষতিকর।’
গর্ডন আরও বলেন- ডিমের ক্ষতি এবং প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করা হয়। ডিমের যে ক্ষতিকারক উপাদান আছে তা খুব দ্রুত হৃদরোগ তৈরি করে। বিশেষ করে ডিমের কুসুম খেলে এই ক্ষতির পরিমান আরও অনেক বেশি যা ফুসফুসে ক্যানসার পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ” অতিরিক্ত ভিটামিন খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের কারণে শরীরের স্বাভাবিক পুষ্টি প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায় । অনেক সময় এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ক্ষুধামন্দা, ডায়েরিয়া, মাথাব্যথা, লিভার বড় হওয়া প্রভৃতি উপসর্গে ভুগতে হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ভিটামিন নিলে গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন-সি পেট ব্যথা কিংবা ডায়েরিয়া বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত ভিটামিন-ডি বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ডিম খেলেও তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় বেশি থাকে।”