দার্জিলিং এর সমতলে তাক লাগানো সেক্স নেটওয়ার্ক

0

image_37404_0কোথায় দিন-দুপুরে কখন আদিম ব্যবসা চলছে তার খোঁজ রাখতে হিমশিম পুলিশকর্তারা দেখা যাচ্ছে, ব্যবসার কাঁচা টাকা উড়তে থাকা ওই শহরে ধরণ বদলেই বাজিমাত করেছে দেহব্যবসা৷আগে যা চলত বিভিন্ন হোটেলে, এখন তা বাসা বেঁধেছে ফ্ল্যাটবাড়ির অন্দরে৷ ফ্ল্যাটের দাপটে বাড়ছে অচেনা লোকের বাস নষ্ট হচ্ছে পাড়ার চেনা-জানা মানুষের চৌহদ্দি ওই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে দেহের ক্রেতা থেকে শুরু করে বিক্রেতা, সঙ্গে দালালরাও৷দার্জিলিং জেলার সমতলের এই শহরে বেড়ে চলা সেক্স নেটওয়ার্ক তাক লাগাচ্ছে গোটা বিশ্বকে৷

আগে শহরের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বর ও তার আশপাশের এলাকার কিছু হোটেলে এই কারবার চলত৷ ওই হোটেলগুলিতে বারবার পুলিশি অভিযানে একাধিকবার খোঁজ মেলে মধুচক্রের আসরের৷ তারপর থেকে ওই এলাকার হোটেলগুলি সংযত হয়ে গিয়েছে৷ সীমান্তের ঘেরাটোপে বন্দি শিলিগুড়ির লেকটাউন, মিলনপল্লি, হাকিমপাড়া, কলেজ পাড়ায় এবার বিভিন্ন বাড়িতে ও ফ্ল্যাটে শুরু হয়েছে দেহ ব্যবসা৷ প্রতিদিন শহরে ভিন রাজ্য ও দেশ থেকে কাজে আসছেন হাজার হাজার মহিলা৷ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বহিরাগতরা ফ্ল্যাট কিনেছেন৷ আর সেই ফ্ল্যাটগুলিতেই অবাধে চলছে দেহব্যবসা৷ দিনের আলোর মাঝেও বাড়ছে অন্ধকার জগত ৷ ওই ফ্ল্যাটগুলিই হয়ে উঠছে মধুচক্রের আখরা৷

বর্ধমান, দুর্গাপুর, কলকাতা, নেপাল, দার্জিলিং ও অসমের বেশ কিছু যুবতী এই চক্র চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷ শহরের কিছু বিউটি পার্লারেও বডি ম্যাসাজের নাম করে চলছে মধুচক্র৷ নামি-দামি কিছু ওষুধ কোম্পানির কর্মী ও ব্যাঙ্ক কর্মীরা মূলত ওই সব পার্লারের কাস্টমার৷ শহরের সিংগিং বার থেকে শপিং মলের তরুণীরাও এই কারবারে লিপ্ত৷ জানা গিয়েছে, শহরের কিছু নার্সও সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে কাস্টমর ধরার কাজ চালাচ্ছে সকলের নাকের ডগায়৷ ঘণ্টা পিছু দু’শ থেকে পাঁচ’শ টাকা আর নাইট স্টে করলে লাগছে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা৷ পকেটে ওই টাকা থাকলেই সবার অজান্তে যে কেউ পেয়ে যাচ্ছে যৌন আনন্দ পাওয়ার সুযোগ৷ ওই সুযোগ বিপথে চালিত করছে এমনকী স্কুল পড়ুয়াদেরও৷

শিলিগুড়ি পুলিশ সম্প্রতি শহরের লেকটাউন, মিলনপল্লি, হাকিমপাড়া, কলেজ পাড়ার বেশ কিছু বাড়ি ও গেস্ট হাউসে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেছে মধুচক্রের আসর৷ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, শহরের বাঘাযতীন পার্ক সংলগ্ন ২টি ফ্ল্যাটে, হাকিমপাড়ার স্বামীজি মোড় এলাকার ৩টি বাড়িতে, হাকিমপাড়ার গৌরি ভবনের ৩টি বাড়িতে, হাকিমপাড়ার যুব সমিতি ক্লাব সংলগ্ন একটি বাড়িতে, কলেজ পাড়ার ১টি বাড়িতে চলছে দেহব্যবসা৷ হাকিমপাড়ার কাস্টমস ভবন সংলগ্ন ২টি গেস্ট হাউসেও এই ব্যবসা চলছে৷ এরপর থেকেই ওই এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি রাখতে শুরু করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ৷ সন্ধের পর শহরের হিলকার্ট রোডের মেঘদূত সিনেমা হলের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মক্ষীরানিদের উপরও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে৷ ওই মহিলারা নিজেদের জাল ছড়িয়ে কাস্টমর ধরে নির্দিষ্ট ফ্ল্যাট কিংবা বাড়ি নিয়ে যান৷ এটি তাদের নতুন উপার্জনের পথ৷ বেশ কিছু কলেজ পড়ুয়াও এই ব্যবসায় জড়িত৷ অনেক গৃহবধূও বান্ধবীর বাড়ি বা বিউটি পার্লারে যাওয়ার নাম করে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য কাজ সেরে দু-তিন হাজার টাকা দিব্যি রোজগার করে বাড়ি ফিরে আসছেন৷ শিলিগুড়ির হায়দর পাড়া ও দেশবন্ধু পাড়াতেও চলছে রমরমা ওই কারবার৷

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More