ফখরুল-সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘রাজনৈতিক’: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

0

97089_1লন্ডন: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং একুশে টিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বহু আলামত পাওয়া যাচ্ছে’ মন্তব্য করে তাদের মুক্তি দাবি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি ৫ জানুয়ারি ঘিরে সহিংসতায় বিক্ষোভাকারীদের নিহতদের ব্যাপারে তদন্ত করারও দাবি জানিয়েছে।

অ্যামনেস্টি বলেছে, বিএনপির বিরুদ্ধে চলমান ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসেবে এসব গ্রেপ্তার ও হত্যা সংঘটিত হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়,  নোয়াখালীতে পুলিশ ও বিএনপিকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজনসহ সোমবার থেকে অন্তত ৬ জন মারা গেছে।

‘এসব হত্যাকাণ্ডের আশু, বিস্তারিত এবং স্বাধীন তদন্ত করে দায়ীদের বিচার করা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব’ বলে মন্তব্য করেছেন অ্যামনেস্টির বাংলাদেশ বিষয়ক গবেষক আব্বাস ফয়েজ।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারির ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনের এক বছর পূর্তিতে এসব অন্তোষের ঘটনা ঘটেছে, যে নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।

৫ জানুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ আছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, ‘বহু আলামত আছে যে আবদুস সালাম ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

বিবৃবিতে বলা হয়, বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হলেও সহিংস কাজে তার উসকানির কোনো প্রমাণ নেই।

‘এসব গ্রেপ্তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের সুষ্পষ্ট লংঘন,’ বলেন আববাস ফয়েজ।

বিবৃতিতে বলা হয়,বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষয়িষ্ণু অবস্থার ওপর বারংবার আলোকপাত করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সরকারের সমালোচনামূলক কোনো মত প্রকাশ না করার জন্য সংবাদপত্র ও টিভি সম্পাদকদের ওপর ভীষণ চাপ রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০১৪ সালে বিরোধীদের বিক্ষোভে ১০০ এর অধিক লোক নিহত হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। এসব ঘটনার কোনোটিরই যথাযথ তদন্ত এবং বিচার হয়নি বলে মনে করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More