ঢাকা : নগ্নতায় লজ্জা পেলে, পরীক্ষায় ডাহা গোল্লা! স্নাতকের সার্টিফিকেট আর হাতে পাওয়া হবে না। শুনে আপনার মনে হতেই পারে, গল্পের গরু গাছে চড়েছে। কিন্তু, এটাই সত্যি স্যান দিয়েগোর ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটেতে।
প্রফেসর রিকার্ডো ডমিনগুয়েজ। ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ভিজুয়াল আর্টের এই অধ্যাপক এখন যাবতীয় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে। তাঁর কাণ্ডকারখানা প্রকাশ্যে আসায় যতটাই উত্তেজনা চারপাশে, তিনি ততটাই নিরুত্তাপ। বক্তব্য, বিগত এগারো বছরে কোনও পড়ুয়া ছাত্রীই অভিযোগ জানায়নি। তিনি এর মধ্যে কোনও অশ্লীলতাও দেখছেন না।
স্নাতকস্তরের চূ়ড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা ভিজুয়াল আর্টের পরীক্ষার্থীদের কাছে যেন বিভীষিকা! না বলার উপায় নেই। তা হলে, তীরে এসে তরি ডুববে। ডিগ্রি হাতে নিতে অতএব, হাজার অনিচ্ছা সত্ত্বেও ‘নগ্ন’ হতে হবে। শুধু নগ্ন হলেই আবার চলবে না। সবার সম্মুখে নগ্ন হতে হবে। সেখানে থাকবেন ওই অধ্যাপক। থাকবেন সহপাঠী পড়ুয়ারা। তাঁদের ক্যানভাসে ধরা দেবে নগ্নতা, প্রেমের নানা ভঙ্গিতে। কোনও একজনের জন্য এ নিয়ম নয়। পালাক্রমে সবাইকেই বসতে হবে নগ্ন হয়ে, ক্লাসঘরে, মোমবাতির নরম আলোয় চলকে উঠবে যৌবন।
ভিজুয়াল আর্টের কোনও প্রতিষ্ঠানে নগ্ন ছবি আঁকার জন্য সাধারণত পেশাদার মডেল ব্যবহার করা হয়। কখনও কোথাও কোনওভাবে পড়ুয়াদের নগ্ন হতে হয় না ভরা ক্লাসে। এতদিন প্রফেসর রিকার্ডো ডমিনগুয়েজের এই ‘বাধ্যবাধকতা’ কারও নজরে আসেনি। সম্প্রতি ভিজুয়াল আর্টের এক ছাত্রী ঘটনার কথা বাড়িতে গিয়ে জানায়। ভরা ক্লাসে নগ্ন হয়ে অসুস্থও হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। তাঁর মায়ের অভিযোগ, নগ্ন হওয়ার বাধ্যকতা যে রয়েছে, তা আগে জানানো হয় না। তা হলে, পড়ুয়ারা সেই ভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারে। এমন সময় বলা হয়, তখন আর সরে আসার উপায় থাকে না। ওই অধ্যাপককে বিকৃত মানসিকতার বলেই মনে হয়েছে তাদের।
যদিও, যাবতীয় অভিযোগ নস্যাত করে দিয়েছেন প্রফেসর রিকার্ডো। তাঁর স্পষ্ট কথা, নগ্ন হতে কারও আপত্তি থাকলে, তাঁকে ভিজুয়াল আর্টের এই কোর্স করতে আসতে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ বিতর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছে।