মৃত্যুর পরও বেঁচে উঠেছিলেন যারা!

0
ছবিটি রূপক, ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত
ছবিটি রূপক, ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত

মানুষের জন্ম হয় একবার। মৃত্যুও। কিন্তু যুগে যুগে এমন কিছু মানুষ এসেছেন পৃথিবীতে যাদের জন্য কথাটা ঠিক নয়, কিংবা বলা যেতে পারে অতটা সত্যি নয়। তাদের জন্ম কিংবা মৃত্যু হয়েছে একাধিকবার! দু-দুবার মরে মৃত্যুর আগেও মারা যাবার স্বাদ পেয়েছেন তারা। আর এমন কিছু মানুষকে নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন, যারা কিনা মৃত্যুর পরেও বেঁচে উঠেছিলেন!

১. কফিনে ছয়দিন

গল্পটা ৯৫ বছর বয়সী লি জিয়ুংফেং-এর। বেশ কিছুদিন ধরেই মাথাব্যথা করছিল লির। ডাক্তার দেখানোর পরেও সারছিল না ব্যথাটা। এইসময় প্রতিদিনই বৃদ্ধা লির খোঁজ নিতে তার বাড়িতে যেতেন প্রতিবেশি মি: কুইংওয়াঙ। তো সেদিনও আর সব দিনের মতন যান তিনি লিকে দেখতে। আর তখনই বুঝতে পারেন হঠাৎ যে লি আর নেই। বেশ চেষ্টা করা হয় লিকে জাগিয়ে তোলার। কিন্তু কোন লাভ হয়না। আর লির বয়সটাও এমন কিছু কম ছিলনা। ফলে একটা সময় লিকে মৃত ঘোষনা করে দেওয়া হয়। তবে আত্মীয় ও বন্ধুদের জন্যে কফিনে রেখে লাশকে লির বাড়িতেই রাখা হয় ছয়দিন। সেদিন ছিল লির শেষকৃত্য। সকাল হতেই কুইংওয়াঙ চলে যান প্রতিবেশীর বাড়িতে কফিনটা ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে আসতে। কফিনটা পুরোপুরি ঠিকই ছিল। কেবল ঠিক ছিলনা এর ভেতরের মানুষটা! কোথায় গেল লি? কেউ কি লাশ নিয়ে গেল? খুঁজতে গিয়ে অবাক হয়ে আবিষ্কার করলেন কুইংওয়াঙ যে লি আর কোথাও নয়, নিজের রান্নাঘরে। রান্না করছে। ছয়দিন পর অবশেষে ফিরে এসেছে বৃদ্ধা লি! কীভাবে? কেউ জানে না!

২. মর্গের মেয়েটি

লাজ মিরাগলোস। অলৌকিক আলো! সত্যিই অলৌকিকই বটে। অ্যানালিয়া বাউটার যখন তার পঞ্চম সন্তানের জন্ম দিতে হাসপাতালে আসেন তখন বাচ্চাটির জন্ম নিতে অনেকটা সময় বাকি ছিল। ফলে অপরিণত অবস্থায় মায়ের গর্ভ থেকে বেরোতে গিয়ে মারা যায় সে। বাউটার দম্পতি প্রচন্ড আঘাত পান। তাদেরকে একটি মৃত্যু সনদের সাথে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে। এদিকে অনেক অনেক ডাক্তার মিলেও শেষ অব্দি প্রাণের কোন সাড়া না পেয়ে লাশ রাখবার ঘরে শুইয়ে দেন শিশুটিকে। ১২ ঘন্টা পর বাউটার দম্পতি শেষবারের মতন নিজেদের মেয়েকে দেখতে হাসপাতালে এলে ডাক্তার মর্গ দেখিয়ে দেয় তাদেরকে। চোখে কান্না চেপে মেয়ের লাশের ছোট্ট কফিনটা খোলেন মা। আর সাথে সাথে তারস্বরে চিত্কার দিয়ে ওঠে বাচ্চা মেয়েটি। কিছুদিন পর মেয়েকে নিয়ে হাসতে হাসতে বাড়ি ফেরের বাউটাররা। সাথে জন্ম সনদপত্র!

৩. ফিরে পাওয়া জীবন

২০১২ সাল। মিশিগানে ভোটের মৌসুম চলছিল তখন। ভোট দিতে অনেকে হাজির হয়েছে ভোটকেন্দ্রে। ভোটারদের সাহায্য করতেও হাজির হয়ে গিয়েছে অনেকে। আরো অনেকের মতন সেবক ট্রাই হউসটনও ভোট দিচ্ছিলেন নিজের মতন করে। সেসময়ই হঠাৎ তার কানে আসে নারী কন্ঠের চিত্কার। দৌড়ে যান তিনি ঘটনাস্থলে। এক নারী তার স্বামীকে আঁকড়ে ধরে কাঁদছে। স্বামীকে ধরে দেখলেন হউসটন। না আছে শ্বাস, না চলছে নাড়ি। ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল ধীরে ধীরে দেহটি। তবে সেবক হবার অভিজ্ঞতা থাকায় যতটুকু করা যায় খালি হাতেই করতে শুরু করলেন হউসটন। আর খানিক পরেই সফলও হলেন। প্রাণ ফিরে এল নিথর দেহটিতে। তবে জীবন ফিরে পাওয়ার পর মানুষটির প্রথম প্রশ্ন ছিল- আমি কি ভোট দিয়ে ফেলেছি?

৪. অদ্ভুতূড়ে মুত্যু

কেলভিন সান্তোস নামের ব্রাজিলের ছোট্ট ছেলেটার মৃত্যু হয় নিউমোনিয়ার কারণে। টানা তিন ঘন্টা মৃতাবস্থায় থাকে সে। একে একে খবর পেয়ে আত্মীয়রা আসতে শুরু করে বাড়িতে। শেষ দেখা দেখে যায় আদরের ছোট্ট কেভিনকে। এদের মধ্যে একজন ছিলেন কেভিনের খালা। তিনি কেভিনের লাশের পাশে যাওয়ার সময় অদ্ভুত কিছু একটা লক্ষ্য করেন। লাশটা নড়ছে! তিন ঘন্টা মৃত থাকার পর সত্যিই হঠাৎ জেগে ওঠে কেভিনের দেহটি। পানি খেতে চায়। দ্রুত পানি দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু দুঃর্ভাগ্যজনকভাবে পানি খাওয়ার পরপরই আবার মাটিতে পড়ে যায় কেলভিন। এবার দ্বিতীয় ও শেষবারের মতন মারা যায় সে।

তথ্যসুত্র
people who came back from the dead-listverse.com

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More