কেইটি নামক ঝড়ে লণ্ডভণ্ড ইংল্যান্ড। হিথ্রো বিমানবন্দরে বাতিল হয়েছে ৬১ টি ফ্লাইট। সামারের প্রথম দিন এবং রাতে কেইটির তীব্রতা ছিল ভয়াবহ। রোববার দিবাগত রাতে পুরো ইংল্যান্ডকে কাঁপিয়েছে কেইটি। ঝড়ের তান্ডবে বাতিল করতে হয়েছে বিপুল সংখ্যক ফ্লাইট। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক বাড়ি ঘর। হাজার হাজার বাড়িতে বিদ্যুতহীন রাত কাটাতে হয়েছে।
ইংল্যান্ডের দ্যা ইনভায়রনমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, দক্ষিণ ইংল্যান্ডে কেইটির প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০৫ মাইল। প্রায় ৮০ হাজার বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয় তীব্রগতির বাতাসের কারণে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে প্রায় ২৯টি এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তীব্র গতির বাতাসের কারণে স্ট্যানস্টেড এয়ারপোর্টের ফ্লাইট জরুরি ভিত্তিতে গ্যাটউইক এয়ারপোর্টে অবতরণ করতে হয়েছে। লন্ডনের গ্যাটউইক, স্ট্যানস্টেড, বার্মিংহ্যাম, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার এবং ইস্ট মিডল্যান্ড এসব এয়ারপোর্টগুলোতে ফ্লাইট উঠা নামায় মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটেছে। এসব এয়ারপোর্টের প্রায় ২৬টি ফ্লাইট বাতিল এবং ২৩টি ফ্লাইট ডাইভার্ট করতে হয়েছে। শুধুমাত্র হিথ্রোতেই বাতিল হয়েছে ৬১টি ফ্লাইট। আর ডাইভার্ট করতে হয়েছে ২০টি।
এদিকে লন্ডন ফায়ার ব্রিজ জানিয়েছে, রোববার রাতে কেইটির তান্ডবে অন্তত ১১০টি দুর্ঘটনা সামলাতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে সাসেক্স পুলিশ জানিয়েছে, রোববার মধ্যরাত থেকে সকাল ৯টার মধ্যে আবহাওয়া সম্পর্কিত অন্তত ৬শ টেলিফোন কল রিসিভ করেছে তারা। রাতভর কেইটির তান্ডবে সড়ক পথেও নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সংযোগ ব্রিজটি দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল। যদিও পরে তা খুলে দেয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায়ও সড়ক পথে কেইটির প্রভাবে সাময়িক সমস্যা হয়েছিল। সোমবার ঘর থেকে বের হবার আগে আবহাওয়ার সর্বশেষ খবর নিতে পরামর্শ দিয়েছে মেট অফিস।
Next Post