ঢাকার হলি আর্টিজান রেস্তোরায় নিহতদের মধ্যে ৯ জনই ইটালির নাগরিক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর আইএসপিআর।[ads1]
ইটালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে নিহতদের পরিচয় অবমুক্ত করেছে।
এরা হচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ান রসি, মার্কো টনডাট, নাদিয়া বেনেডেট্টি, আডেলে পাগলিসি, সিমোনা মন্টি, ক্লডিয়া মারিয়া ডি’অ্যান্টোনা, ভিনসেনযো ডি’অ্যালেস্ট্রো, মারিয়া রিভলি এবং ক্লডিও চ্যাপেল্লি।
এদের মধ্যে একজন তেত্রিশ বছর বয়েসী মহিলা গত দেড় বছর ধরে কর্মসূত্রে ঢাকায় রয়েছেন।
বায়ান্ন বছর বয়েসী অপর এক মহিলা টেক্সটাইল মিলে কাজ করতেন।
আর সাতচল্লিশ বছর বয়স্ক একজন ব্যবসায়ী রয়েছেন। তিনি তিন বছর বয়েসী জমজ সন্তানের পিতা।
ইটালির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে অবশ্য একজন দশম ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর দিচ্ছে।
ইটালির ভেনিসে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাংবাদিক পলাশ রহমান জানাচ্ছেন, গতরাতে ইউরো ২০১৬ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে জার্মানির সাথে ইটালি খেলছিল বলে সাধারণ জনগণের মধ্যে ঢাকার এই হামলার ঘটনা নিয়ে খুব বেশী আলোচনা ছিল না।[ads2]
ফ্রান্সের বোর্দোতে এই ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগে ইটালির খেলোয়াড়রা কিছুক্ষণ নীরব থেকে নিহতদের স্মরণ করেন।
তাদের হাতে ছিল কালো ফিতে বাঁধা।
দেশটির গণমাধ্যমগুলো, বিশেষ করে টেলিভিশনগুলোতে শুক্রবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত বেশীর সংবাদ ও আলোচনা অনুষ্ঠানই ছিল ঢাকার এই সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে।
ইটালির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রাই নিউজের সংবাদ বিশ্লেষণে এই হামলার জন্য বাংলাদেশের দুই প্রধান দলকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে।
এতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডসমূহের ধারাবাহিকতার উল্লেখ করে বলা হয়েছে দোষারোপের রাজনীতিই গুলশানের এই হামলার রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে।
একই রকম বক্তব্য এসেছে স্কাই নিউজের সংবাদ বিশ্লেষণেও।
মি. রহমান বলছিলেন, তিনি স্কাই নিউজের একটি আলোচনা অনুষ্ঠান দেখছিলেন যেখানে বক্তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘একনায়ক’ এবং বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়াকে ‘ইসলামপন্থীদের নেতা’ হিসেবে বর্ণনা করছিলেন।
গুলশান হামলার নিন্দা জানিয়ে ভেনিসের বাংলাদেশী সম্প্রদায় একটি প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।[ads2]