ঘরে ফিরেছে সত্যিকারের ‘মুন্নি’

0

Salman munniবলিউডের ছবি ‘বজরঙ্গী ভাইজানের’ এখনো থামেই নি। ছবিতে চিকিৎসা নিতে ভারতে এসে ফেরার পথে হারিয়ে যাওয়া মূক ছোট্ট শাহিদাকে বা মুন্নিকে তার দেশ পাকিস্তানে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য প্রাণের ঝুঁকি নিতেও কসুর করেননি বজরঙ্গী ভাইজান সালমান খান। সেই মুন্নি নামে শুধু বলিউড পাড়ায় নয়, খোদ পাকিস্তানেও চেনে এক নামেই।

সিনেমার জয়কারে যুক্ত হয় আরেকটি পালক। বেরিয়ে আসে সত্যিকারের ‘মুন্নি’র খবর। সিনেমার পর্দায় যে গল্প অনেকের চোখেই জল এনে দিয়েছিল, সেই ‘বজরঙ্গী ভাইজানে’র গল্প সত্যি হল গীতার হাত ধরে। তোলপাড় শুরু হয় মিডিয়ায়। অবশেষে ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান। ঘরে ফিরলেন ভারতীয় ‘মুন্নি’।

বাস্তবের গীতাও অসহায় অবস্থায় ভিনদেশে আশ্রয় পেয়েছিল এক পাকিস্তানি পরিবারে। ১৫ বছর আগে লাহোরে সমঝোতা এক্সপ্রেসে বছর সাতেকের ছোট্ট গীতাকে দেখতে পান পাক রেঞ্জাররা। মূক ও বধির গীতার ঠাঁই হয় পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সমাজকল্যাণমূল প্রতিষ্ঠান এধি ফাউন্ডেশনে। ফাহাদ এধির বাড়িতেই এতদিন পরিবারের একজন সদস্য হিসেবেই ছিলেন গীতা। সেখানেই ১৫ বছর কেটে যায় তার। অবশেষে দুই দেশের সরকারের উদ্যোগে দেশে ফিরলেন গীতা।

সোমবার সকাল দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন গীতা। তার সঙ্গে এসেছেন ফাহাদ এধি, তার বাবা ফৈজল এধি, ফাহাদের মা ও দাদি। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পাক হাইকমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

বিকেলে গীতা ও তার পাকিস্তানী পরিবারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এ দেশে নিযুক্ত পাক হাই কমিশনার আবদুল বসিত। ছবি দেখেই নিজের বাবাকে চিহ্নিত করেছেন গীতা। গীতার মত অনুযায়ী, বিহারের বাসিন্দা জনার্ধন মাহাতো তার জন্মদাতা বাবা। তবে এ দেশে তার ডিএনএ পরীক্ষা হবে। পরিবারের লোকের সঙ্গে তার ডিএনএ মিলে গেলে তবে পরিবারের লোকেদের হাতে তাকে তুলে দেয়া হবে। না হলে এ দেশেই কোনো সমাজসেবী প্রতিষ্ঠানে গীতাকে রেখে নতুন করে তার পরিবারের খোঁজ করা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More