ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির পক্ষে প্রচারণা চালানোর কারণে সম্ভ্রম হারিয়েছেন ঝাড়খণ্ড প্রদেশের এক মুসলিম নারী। একজন বা দুজন নয়, সোমবার ১২ জনের বেশি পুরুষ মিলে তাকে গণধর্ষণ করেছে। পাষণ্ডদের হাত থেকে রেহাই পায়নি তার ১৩ বছরের মেয়েটিও। মঙ্গলবার স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে গালফ নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয, সোমবার একদল ওই দুর্বৃত্ত নারীর বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় তারা তার ১৩ বছরের মেয়ের ওপরও নির্যাতন চালায়। মা ও মেয়ের ওপর নির্যাতন চালানোর আগে ধর্ষণকারীরা তার স্বামীর হাত বেঁধে রেখেছিল বলে জানা যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ড পুলিশের মুখপাত্র উর্ধতন কর্মকর্তা অনুরাগ গুপ্তা এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, তারা ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন। রাজনৈতিক কারণেই ওই নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তারা তা খতিয়ে দেখছেন।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী ভারতের ধর্মভিত্তিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির তথাকথিত ‘সংখ্যালঘু’ শাখার একজন কর্মী। তিনি লোকসভা নির্বাচনে দলের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন বলে জানা যায়। তার বয়স ত্রিশের কোঠায়।
সোমবার হামলাকারীরা ধর্ষিতার বাড়ি থেকে নগদ ৩০ হাজার রুপি এবং ২ লাখ রপির বেশি মূল্যের অলঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় বলে জানা যায়। ছাড়খণ্ডের পুলিশ ইন্সপেক্টর টি এন সিং সংবাদ সংস্থা এএফপি’র কাছে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, ঘটনার সময় গ্রামবাসীরা মসজিদের মাইকে এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে শুরু করলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
ভারতের নারীরা অহরহ ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লিতে এক চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক মেডিকেল ছাত্রী। এ ঘটনায় গোটা দেশ জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল।