উত্তরাঞ্চলে শ্রমজীবী নারীরা কেমন আছেন মে দিবসে?

0

আজ মহান মে দিবস। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস হিসেবে পালন হচ্ছে দিনটি। উত্তরাঞ্চলের শ্রমজীবী নারীরা আজ সর্বক্ষেত্রেই সফলতার স্বাক্ষর রেখে এগিয়ে চলেছে। শ্রম,মেধা আর যোগ্যতা নিয়ে পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে কঠিন চ্যাঞ্জের মোকাবেলা করছে এ অঞ্চলের নারী। এর পরও তারা আজও বঞ্চিত শ্রমের ন্যায্য মজুরী থেকে। হার ভাঙ্গা খাটুনী খেটেও তারা শিকার হচ্ছে বৈষম্যের। শতভাগ নারী শ্রমের সাথে জড়িত বলে অভিমত শ্রমজীবী নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের।

image_38590_0বেগম রোকেয়ার সেই অন্তঃপুরবাসিনী নারী আজ সুইয়ের ফোঁড়ে ফোঁড়ে কেবল রূপকথার গল্পই বোনেনা, সঙ্গে দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়,কঠোর পরিশ্রম,মেধা আর উদ্ভাবনী শক্তিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই নারী। এসব শ্রমজীবী পরিশ্রমী নারীদের কর্ম তৎপরতায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে উত্তরাঞ্চলের সার্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান। এর পরও এসব নারী যথাযথ পারিশ্রমিক পাচ্ছেনা। কম দামে বিক্রি হচ্ছে তাদের শ্রম।কৃষি,ক্ষেত-খামার থেকে শুরু করে ইট-পাথর-বালু টানা, মাটি কাটা,ইট-পাথর ভাঙ্গা,চাতালে শ্রম,সাংবাদিকতা সহ বিভিন্ন কঠোর ও ঝুকিপূর্ণ কাজে শ্রম দিচ্ছে তারা। পেটের তাগিদে বা সংসার চালাতে  কর্ম বিমূখতার পরিবর্তে পড়া-লেখার খরচ যোগাতেও কেউ কেউ উৎপাদন কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে সংগ্রামী দৃষ্টান্তও রাখছে।শ্রম,মেধা আর যোগ্যতা নিয়ে পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে কঠিন চ্যাঞ্জের মোকাবেলা করলেও এসব নারী আজও বঞ্চিত শ্রমের ন্যায্য মজুরী থেকে। হার ভাঙ্গা খাটুনী খেটেও তারা শিকার হচ্ছে বৈষম্যের। এমন অভিযোগ নারী নেত্রী এবং শ্রমজীবী নারী সংগঠন দিনাজপুর পল্লীশ্রী’র নির্বাহী পরিচালক শামীম আরা বেগমের।

শতভাগ নারী শ্রমের সাথে জড়িত বলে অভিমত শ্রমজীবী নারী সংগঠনের উপদেষ্ঠা আইনজীবী এ্যাডখোকেচ সলিমুল্লাহ্ সেলিমের।। সংসারের কাজের ফাকে নারীরা শ্রম দিচ্ছে সার্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাজে। এর মধ্যে ৮০ ভাগেই শ্রম দিচ্ছে কৃষি কাজে। ধান বোনা থেকে শুরু করে কাটা-মাড়াই,ঝাড়াই.জৈব সার তৈরী সব্জি উৎপাদন,বিক্রি সর্বত্র নারীর উপস্থিতি। আর ২০ ভাগ শ্রম দিচ্ছে ইট-পাথর-বালু টানা, মাটি কাটা,ইট-পাথর ভাঙ্গা,চাতালে শ্রম,সাংবাদিকতা সহ বিভিন্ন কঠোর ও ঝুকিপূর্ণ কাজে ।

পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে সমশ্রম ব্যয় করেও উত্তরাঞ্চলের নারী আজও শ্রমের শ্রম মূল্য থেকে বঞ্চিত। হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খেটেও আজও তারা  সমাজের কাছে উপেক্ষিত। এসব নারী করে শ্রমের সমমূল্য পাবে- করে তারা প্রতিষ্ঠিত হবে শ্রম বাজারে ? এমনটাই প্রশ্ন তুলেছেন খেটে খাওয়া নারীরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More