কওমি মাদরাসার শিক্ষা নিয়ে মন্ত্রীদের বক্তব্যের নিন্দা জামায়াতের

0

jamayetনৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এবং খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ‘কওমি মাদরাসার শিক্ষা ও ছাত্রদের সম্পর্কে’ যে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান আজ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম কওমি মাদরাসার শিক্ষা ও ছাত্রদের সম্পর্কে যে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তাতে জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে গেছে, তারা এ দেশ থেকে মাদরাসা শিক্ষা তথা ইসলামী শিক্ষা ধ্বংস করতে চায়। তাদের দুজনের বক্তব্য একই সূত্রে গাঁথা।

তিনি আরো বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান গত ২২ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকা মহানগরীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘ওরা (মাদরাসা ছাত্ররা) বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। ওরা বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সাহিত্য সবকিছু ধ্বংস করে ফেলতে চায়’ মর্মে যে অন্যায় এবং অযৌক্তিক বক্তব্য রেখেছেন তা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কওমি মাদরাসা ছাত্রদের লক্ষ্য করে এ ধরনের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য রাখার কোনো যুক্তি নেই।

একইভাবে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম গত ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে আয়োজিত এক সম্মেলনে কওমি মাদরাসাগুলোকে লক্ষ্য করে ‘কওমি মাদরাসা নামধারী জঙ্গী আস্তানাগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে। ব্যাঙের ছাতার মত বাড়ছে কওমি মাদরাসা।’ মর্মে যে অযৌক্তিক ও আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তাতে দেশের ওলামায়ে কেরাম এবং ইসলাম প্রিয় জনগণ বিক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ মনে করে আমাদের দেশ থেকে ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্য ধ্বংস করার অসৎ উদ্দেশ্যেই নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী কওমি মাদরাসার ছাত্র এবং মাদরাসা শিক্ষা সম্পর্কে কটাক্ষপূর্ণ ও অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। তাদের এ অন্যায় মন্তব্যে দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে, তারা এ দেশের জনগণের ঈমান-আকিদা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই কওমি মাদরাসা শিক্ষা বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের ইসলামী শিক্ষা তথা মাদরাসা শিক্ষাবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি দেশের পীর-মাশায়েখ, ওলামায়ে কেরাম ও জনগণের প্রতি আহবান জানান। একইসাথে মাদরাসা শিক্ষা তথা ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More