ব্যবসায়ীদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘কর অবরোধ’ আরোপের আহবান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এ আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, শীত যেতে না যেতেই রাজধানীসহ সারাদেশে ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। অথচ কুইক রেন্টালের নামে সরকার লুণ্ঠন চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের কথা বলে সরকার নজীরবিহীন দূর্নীতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিলেও সেচ মওসুমে কৃষক বিদ্যুৎ পাচ্ছেনা। বিদ্যুতের অভাবে শিল্পকারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
বিবৃতিতে সরকারের গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হারানোর কারণেই আজ দেশবাসী তাদের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার হারিয়েছে। হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশি হেফাজতে হত্যা জাতির নিয়তিতে পরিণত হয়েছে। মিথ্যা মামলায় গণগ্রেফতারে পুরো দেশ আজ কারারুদ্ধ। তাই সরকারের পতন ছাড়া জাতির কোনো মুক্তির পথ খোলা নেই।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, দিনাজপুর থেকে শিবির নেতা মতিয়ার রহমানকে স্থানীয় পুলিশ গ্রেফতার করে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে ঢাকায় এনে অজ্ঞাত লাশ হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলজে হাসপাতাল মর্গে রেখে লাশ অবমাননার নিকৃষ্ট উদাহরণ তৈরি করছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে দখলদার হানাদার সরকারের প্রতিটি হত্যা নির্যাতনের জবাব দেয়ার অধিকার জনগণ রাখে।
মাওলানা খান আরও বলেন, জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিরোধীজোটের সাথে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে সংঘাতের পথকেই বেছে নিয়েছেন। এটা নিজের দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। এই চাপিয়ে দেয়া অমানবিক যুদ্ধে সরকার নিস্তার পাবেনা। দেশের প্রতিটি প্রান্ত এখন জালেম সরকারের সকল নৃশংসতা রুখে দেয়ার জন্য প্রস্তুত। জানমাল রক্ষা ও দেশে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে দ্রুততম সময়ে সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া জাতির মুক্তি নাই তাই দেশবাসীকে আরো সাহসিকতা ও ত্যাগের মনোভাব নিয়ে সর্বাত্বক মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে বিশেষ আহবান জানান তিনি।
সরকারের তীব্র বাঁধা, হুমকি-ধমকি, জুলুম-নির্যাতন, গণগ্রেফতার সত্ত্বেও লাগাতার অবরোধ ও ৭২ ঘন্টা হরতালের ২য় দিয়ে রাজধানীতে মিছিল ও রাজপথ অবরোধ করায় সকল নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান জামায়াতের এই নেতা।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিরোধ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করতে তিনি দেশের সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী মহল, সাংবাদিক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারক ও ব্যাংক-বীমার কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-ছাত্র, আইনজীবী, মেহনতি মানুষ, কৃষক, শ্রমিকসহ সকল পেশা ও শ্রেণির মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান জামায়াত নেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।