জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অফিস সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। গত ২০ জানুয়ারি সকালে হঠাৎ হৃদরোগে ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আমিনুল ইসলাম ১৯৫৩ সালের ১৫ মার্চ বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ার হাসানপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আজ বাদ জোহর ঢাকা মহানগরীর ধানমন্ডিস্থ ঈদগাহ মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আমিনুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ইসলামী ছাত্র শিবিরের সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ছিলেন। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অফিস সেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জামায়াতের শোক
আমিনুল ইসলামের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ এক যুক্ত শোকবাণীতে বলেন, আমিনুল ইসলামের আকস্মিক ইন্তেকালে আমরা আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিবেদিত প্রাণ একজন সাথীকে হারালাম। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত থেকে আল্লাহর এ জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। জাতির এক সঙ্কটকালে তার ইন্তেকালে বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল। আল্লাহ তার জীবনের সব নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা প্রদান করুন। আমরা তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে দোয়া করছি আল্লাহ তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফীক দান করুন।