ইদানীং বিয়ে, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী-জাতীয় কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে শুরু করেছেন রুমানা (ছদ্ননাম)। দেখা হলেই আত্মীয়স্বজন, শুভানুধ্যায়ীরা সন্তান না হওয়া নিয়ে জানতে চান। কেউ কেউ নানা রকম চিকিৎসার পরামর্শও দেন। কেউ কেউ সান্ত্বনা দেন—বেশি ভেবো না, আমার অমুক আত্মীয়া বা তমুক বান্ধবীর তো বিয়ের ১২ বছর পর সন্তান হয়েছে। কেউ কেউ সহানুভূতি জানাতে ভোলেন না—এ নিয়ে বেশি মন খারাপ করতে নেই, সৃষ্টিকর্তা যখন দেননি তখন আর কী করা! হয়তো চারপাশের সবাই রুমানার প্রতি সহানুভূতিশীল; তাঁর মা হতে না পারার কষ্টে সমব্যথী হতে চান—রুমানা এটা বোঝেন। তবু এই সমবেদনা আর সহানুভূতির ভার তাঁর সহ্য হতে চায় না।
অন্যের ব্যক্তিগত গোপন বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা চর্চা করা, এমনকি নির্দোষ আলোচনা করাও কখনো কখনো ভদ্রতা বা সৌজন্যের সীমা পেরিয়ে যেতে পারে, কখনো হয়ে উঠতে পারে অন্যের জন্য বিব্রতকর বা কষ্টকর—এটা আমাদের বিবেচনা করা উচিত। যখন-তখন, যেখানে-সেখানে অন্যের নাজুক বিষয়গুলোর প্রসঙ্গ টেনে না আনাটাই উচিত। কিছু কিছু বিষয়ে অযাচিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নাক গলানো নাহয় বন্ধই থাকল।