পুরুষের যেসব গুণে নারীর চরম আকর্ষণ!

0

nariভালোবাসা কিংবা প্রেম -এই শব্দগুলোর মধ্যে জড়িয়ে থাকে আবেগ-অনুভূতি-দায়িত্ববোধ এবং বিশ্বাস। একজন আরেকজনকে দেখলেই পুলকিত হয়। বুকের ভেতর ধড়ফড় করা কিংবা মানুষটির জন্য অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। গল্পে-সাহিত্যে ভালোবাসা কিংবা প্রেমের নানান সংজ্ঞা রয়েছে। তবে ডাক্তারি ভাষায়ও কিন্তু প্রেমের নানান তথ্য রয়েছে।

প্রেম নাকি চিন্তাভাবনা করে হয় না, হঠাত্‍ করে হয় – কথাটা কি পুরোপুরি সত্যি? বোধহয় না! ভেবে দেখুন তো, দুম করে যখন কাউকে ভালো লেগে যায়, তখন তো তার বিশেষ কোনো বিষয় দেখেই ভালো লাগার ব্যাপারটা ঘটে, তাই না? এক্ষেত্রে আমরা ভেবে নিতে পারি, আমাদের মনে কাঙ্খিত মানুষের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো আগে থেকেই অবদমিত থাকে। তাই কারো মাঝে পছন্দের কোনো বিষয় দেখতে পেলেই তাকে ভালো লেগে যায়।

এটাকে চিন্তাভাবনা করা বলেন অথবা হিসেব কষা বলেন, তাহলে এই কাজটি ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি করে থাকে। একটি মেয়ে যখন ধীরে ধীরে বড় হয়, তার মনে কাঙ্খিত পুরুষের একটি ছবি আঁকা হতে থাকে। মেয়েরা সাধারণত আইডল বা আদর্শের মাপকাঠি হিসেবে বেছে নেয় বাবা অথবা বড়ভাইকে। যেসব ছেলের মাঝে এই আদর্শের ছায়া দেখতে পায়, তাকেই সাধারণত মনে ধরে যায় মেয়েদের। এছাড়া আরো কিছু বিষয় মেয়েরা খুঁজে বেড়ায় ছেলেদের মাঝে, যেগুলো মিলে গেলে মেয়েরা সহজেই প্রেমে পড়ে যায়। কী সেই বিষয়গুলো? জেনে সেই বিশেষ ৭টি বিষয় নিন।
ধনী ও সুপ্রতিষ্ঠিত :
ধনী ছেলেরা সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে মেয়েদের। কারণ মেয়েরা আর্থিক নিরাপত্তাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এছাড়া বিলাসী জীবনযাপনের নিশ্চয়তা তো রয়েছেই! তাই ধনী পুরুষরা মেয়েদের পছন্দের তালিকায় থাকেন প্রথমদিকে। ধনী ছেলেদের চেহারা বা ব্যক্তিত্বও তখন গৌণ বিষয় হয়ে যায়। ঠিক একই কারণে সুপ্রতিষ্ঠিত ছেলেদের প্রতিও মেয়েদের দুর্বলতা থাকে। তবে এখানে আর্থিক নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রাধান্য পায় সামাজিক মর্যাদা। বিশেষ করে যেসব মেয়েরা সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন পরিবার বেড়ে ওঠে, তারা সুপ্রতিষ্ঠিত ছেলেদের প্রতি ঝোঁকে বেশি।
জনপ্রিয় :
জনপ্রিয় ছেলেদের প্রতি মেয়েদের আলাদা রকম আকর্ষণ থাকে। জনপ্রিয় বলতে যে শুধু গতানুগতিক মিডিয়া স্টার তা নয়, বরং অফিস বা বন্ধুদের মাঝে জনপ্রিয় অথবা বিশেষ কোনো কাজে সুপরিচিত ছেলেরাও এ তালিকার অন্তর্ভুক্ত। কেন মেয়েরা এ ধরনের ছেলেদের পছন্দ করে? এর কারণ মূলত নিজেও জনপ্রিয় হতে চাওয়ার আকাঙ্খা। নিজে জনপ্রিয় হতে না পারলেও সকলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, এমন ছেলেকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়ার প্রবণতা এটাই প্রমাণ করে। বর্তমান সময়ে ফেসবুকের কথিত সেলিব্রিটি বা জনপ্রিয় ব্লগাররাও মেয়েদের পছন্দের তালিকায় চলে এসেছেন!
যিনি ভালোবাসা প্রকাশ করতে লজ্জিত নন
পৃথিবীতে অসংখ্য পুরুষ আছেন, যিনি নিজের প্রেমিকাকে আত্মীয় বা বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন না। অনেক পুরুষ আছেন যারা স্ত্রীকে বন্ধু বা কলিগদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন না, এমনকি ফেসবুকে দুজনের ছবি আপলোড করতেও দ্বিধা বোধ করেন। এই ধরণের পুরুষের সম্পূর্ণ বিপরীত মানুষটাই আসলে স্বামী বা প্রেমিক হিসাবে আদর্শ। যিনি নিজের স্ত্রী বা প্রেমিকাকে কারো সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে বা নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করতে লজ্জিত বোধ করেন না, জানবেন যে তিনি আসলেই আপনাকে খুব ভালোবাসেন।
স্টাইলিশ ও ফ্যাশনেবল :
রুচিশীলতার ব্যাপারটিতে মেয়েরা অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। তাই স্টাইল ও ফ্যাশনে রুচির পরিচয় দিতে পারে, এমন ছেলেদেরই মেয়েরা পছন্দ করে। চেহারা যেমনই হোক না কেন, স্টাইলিশ ও ফ্যাশনেবল ছেলেদের প্রতি মেয়েরা সহজেই দুর্বল হয়ে পড়ে। হালের ফ্যাশন সম্পর্কে সচেতন এবং স্টাইলে রুচিবোধ রয়েছে এমন ছেলেরা মেয়েদের পছন্দের তালিকায় আগে থাকে।
উচ্চতা এবং চুল :
খাটো ছেলেদের মেয়েরা যেমন পছন্দ করে না, তেমনি টাকমাথাও তাদের পছন্দ নয়! সমান উচ্চতা বা নিজের চেয়ে কম উচ্চতার ছেলেদের মেয়েরা এক প্রকার এড়িয়েই চলে। এ কথা টাকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মাথাভর্তি চুল এবং লম্বা ছেলেরা মেয়েদের মন সহজেই হরণ করে নেয়। তাই মেয়েরা এমন ছেলেদেরই সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়, যে তার চেয়ে লম্বা এবং মাথায় টাকের আভাসমাত্র নেই!
বাবার মতো যত্নশীল ও দায়িত্ববান :
বেশিরভাগ মেয়েরই আইডল বা আদর্শ পুরুষ থাকে তার বাবা। কারণ ছোটবেলা থেকেই যত্নশীলতা ও দায়িত্ববোধ দেখে বড় হয়। তাই মেয়েরা স্বভাবতই যত্নশীল ও দায়িত্ববান ছেলেদের পছন্দ করে। যে ছেলে তাকে বাবার মতো আগলে রাখতে পারবে, যত্ন করবে এবং সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব নেবে – এমন ছেলেদেরই মেয়েদের পছন্দ করে বেশি, এসব গুণই মেয়েরা খুঁজে বেড়ায় ছেলেদের মাঝে।
যে দিতে পারে নিরাপত্তা :
মেয়েরা সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টির কথা ভাবে, তা হলো নিরাপত্তা। যেসব ছেলেরা দিতে পারে নিরাপত্তার অনুভব, সেসব ছেলেদের প্রতি মেয়েদের আকর্ষণ থাকে সবচেয়ে বেশি। এ কারণেই মেয়েরা সাহসী ছেলেদের প্রতি একটু দুর্বল থাকে বেশি। আবার যেসব ছেলেরা পুরুষালী আচরণ করে, তাদের প্রতি ঠিক একই কারণে মেয়েদের ঝোঁক থাকে। নরম স্বভাবের এবং ভদ্র ছেলেরা সামাজিকভাবে এগিয়ে থাকলেও প্রচলিত ‘দুষ্টু’ ছেলেরা মেয়েদের পছন্দের তালিকায় থাকে এগিয়ে।
এক নারীতে সন্তুষ্ট :
কোনো মেয়েই চায় না তার সঙ্গীকে অন্য কারো সাথে ভাগ করে নিতে। একারণে এক নারীতে সন্তুষ্ট থাকে এমন ছেলেদের পছন্দ করে মেয়েরা। অনেক মেয়ে বন্ধু রয়েছে বা মেয়েদের মাঝে জনপ্রিয়, এমন ছেলেদের মেয়েরা একটু এড়িয়েই চলে! আবার পূর্বে দুইয়ের অধিক প্রেম ছিল, এমন ছেলেদেরও মেয়েরা কম পছন্দ করে। মোটকথা, যেসব ছেলেরা বিশ্বস্ত থাকে, তাদের প্রতিই মেয়েরা হয় দুর্বল।
রোমান্টিক
জীবনে সুখী হতে রোমান্সের বিকল্প নেই। সেই রোমান্স যদি আসে বিপরীত লিঙ্গের পছন্দের মানুষের কাছ থেকে আসে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। আর তাই রোমান্টিক পুরুষের সব আচরণ নারীকে আকর্ষণ করে থাকে। রোমান্টিক পুরুষের সঙ্গে মেলামেশায় নারীরা নিজেদের স্বপ্নের রাজপুত্রের দেখা পেয়েছেন বলে ভাবতে থাকেন।
যিনি কেবল সৌন্দর্য দিয়ে মানুষকে বিচার করেন না
হ্যাঁ, প্রথম আকর্ষণের ক্ষেত্রে সৌন্দর্য হয়তো বেশ জরুরী একটা বিষয়। কিন্তু জীবনে চলার পথে নয়। কেননা সৌন্দর্য বড় সাময়িক। যতদিন যৌবন, দৈহিক সৌন্দর্যের আয়ু কেবল ততটুকু। যে পুরুষ একজন নারীকে কেবল সৌন্দর্যের খাতিরে ভালোবাসেন, তিনি কিন্তু অপেক্ষাকৃত বেশি সুন্দরী কাউকে পেলেই বর্তমান সঙ্গিনীকে ভুলে যাবেন। বরং নারীকে সুখী করতে পারেন সেইসব পুরুষ, যারা সৌন্দর্যের বাইরে মানুষ হিসাবে সঙ্গিনীকে দেখতে জানেন। তার ব্যক্তিত্ব, আদর্শ ও চাওয়া-পাওয়ার দিকে বেশি গুরুত্ব দেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More