বৃদ্ধাশ্রমে মারা গেলেন বাবা, জানাজায় আসেননি সন্তানরা

0

রংপুরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে গতকাল রোববার মারা গেছেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ চাঁদশী গ্রামের এস এম মনছুর (৭৫)। বৃদ্ধাশ্রমে মারা যাওয়া মনছুরের জানাজায় অংশ নেননি তার কোনো সন্তান।

রংপুরের হারাগাছ থানার বকসা বৃদ্ধাশ্রমের সদস্যসচিব নাহিদ নুসরাত (প্রাপ্তি রেজা) জানান, চলতি বছরের ২১ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অসুস্থ অবস্থায় এস এম মনছুর তাদের বৃদ্ধাশ্রমে আসেন। এরপর থেকে তিনি বৃদ্ধাশ্রমেই ছিলেন। রোববার বিকেলে অসুস্থ হয়ে তিনি বৃদ্ধাশ্রমেই মারা যান। পরবর্তীতে নিহতের লাশ তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের গৌরনদীর চাঁদশীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

দক্ষিণ চাঁদশী গ্রামের কাজী আশিকুর রহমান রতন, কাজী বাবুলসহ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এস এম মনছুর টিঅ্যান্ডটি বোর্ডের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ নেই। বৃদ্ধাশ্রম থেকে তার লাশ দক্ষিণ চাঁদশী গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে গ্রামের লোকজন লাশ গ্রহন করেন। আজ সোমবার দুপুরে জানাজা শেষে তাকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

তারা আরও জানান, ওই বৃদ্ধের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে বড় ছেলে মহিন সরদার ঢাকায় চাকরি করেন। ছোট ছেলে রাজু সরদার কাতার প্রবাসী। তারা কেউই বাবার জানাজায় আসেননি।

এছাহাক কাজী নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, ২০১৭ সালে মনছুর বিদেশ নেওয়ার কথা বলে এলাকা থেকে প্রায় ১৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল।

মনছুরের এক ঘনিষ্ট আত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঢাকায় প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য মনছুরের ছেলেরা ও তার বোন সেলিনা বেগম ১০ বছর আগে তাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন। এরপর তিনি আর ওই বাসায় ফিরতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে জানতে মনছুরের ছেলে মহিন সরদার ও বোন সেলিনার মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

উৎসঃ আমাদের সময়

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More