৭ তলা থেকে লাফ দিয়ে স্ত্রীর আত্মহত্যা : নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র বাদলকে নিয়ে গেছে ডিবি

0

নারায়ণগঞ্জে সাত তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে স্ত্রী সাদিয়া নিঝুর আত্মহত্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্যানেল মেয়র শাহজালাল বাদলকে নিয়ে গেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রোববার বিকেল ৫টা দিকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাকে আটক কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।

প্যানেল মেয়র শাহজালাল বাদল নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের ভাতিজা ও ‘সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি দস্যু ও বোবা ডাকাত’ খ্যাত নূর সালামের ছেলে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জানান, ‘আমরা বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি। কেউ বলছে, দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে স্ত্রীর সাথে তার ঝগড়া ছিল। আবার কেউ জানাচ্ছে, মেয়েটাকে মেরে ফেলা হয়েছে। সঠিক ঘটনা জানার জন্য বাদলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদি আত্মহত্যার প্ররোচণার কোনো অভিযোগ না পাওয়া যায় কিংবা নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকে, তাহলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বালুর মাঠের একটি সাততলা ভবনে মায়ের সাথে থাকতেন নিঝু। ওই ভবনেরই ছাদ থেকে লাফ দেন তিনি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডিবির হেফাজতে যাওয়ার আগে নাসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ বাদল বলেন, ‘আমি অফিসেই কাজ করছিলাম। এ সময় আমার শাশুড়ির ফোন আসে। তিনি বলেন, তাড়াতাড়ি এসো। নিঝু ছাদ থেকে পড়ে গেছে। ওর সাথে আমার কোনো কলহ ছিল না।’

উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলর বাদলের বিরুদ্ধে বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন নিঝু। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ‘তাকে অধিকার বঞ্চিত করে দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন বাদল।’

অভিযোগে আরো বলেছিলেন, ‘২০০৭ সালে আমাদের বিয়ে হয়। আইভিএফের (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) মাধ্যমে আমাদের একটি সন্তানও হয়। আমার বাচ্চাটা খুবই অসহায়। বাদল আমাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্বটাও নিতে চান না।’

উৎসঃ   নয়াদিগন্ত
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More