রোববার মামলাটিতে আসামিদের উপস্থিতির জন্য দিন ধার্য ছিল। এএমএম বাহাউদ্দিন ও আলমগীর হোসেন আদালতে হাজির না হওয়ার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন । কিন্তু অপর আসামি ইনকিলাবের পরিচালক বিপণন আব্দুল কাদের আদালতে এসে জামিন চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
গত ১৩ অক্টোবর জুয়েলারি ব্যবসায়ী ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২ অক্টোবর দৈনিক ইনকিলাবে ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের প্রতারণা/ভারতের জয়পুর থেকে আনা অধিকাংশ অলংকারই পলিশ করা।’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। সেখানে আরো বলা হয়, ঈদকে সামনে রেখে বেড়ে গেছে বহুল সমালোচিত ও নিন্দিত ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বেচাবিক্রি। প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।
গত ১০ অক্টোবর প্রকাশিত হয়, ‘ঈদকে সামনে রেখে ফের সক্রিয় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড/ নকল ডায়মন্ড এনে পলিশ করে চড়াদামে বিক্রি’ শিরোনামে। শেষ গত ১২ অক্টোবর প্রকাশিত হয়, ‘নকল ডায়মন্ড বিক্রির ধুম পড়েছে গুলশানে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডে।’
বাদী দাবি করেন প্রকাশিত রিপোর্টগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ সংবাদ প্রকাশের ফলে বাদী ও বাদীর প্রতিষ্ঠানের সুনাম, যশ ও খ্যাতি ক্ষুন্ন হয়েছে। প্রথম রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় কমে গেছে ও ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
অন্যায়ভাবে আসামিদের চাওয়া প্রতিমাসে প্রতি বিজ্ঞাপনের জন্য চার লাখ টাকা দিতে অস্বীকার করায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে উদ্দেশ্যমূলক বাদী ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।