প্রথম আলো অনলাইনের আজব শিরোনামঃপাদের গন্ধ ছড়ানো নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

0

joke-headlineপাদের গন্ধ ছড়ানো নিয়ে  ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ  শিরোনামে প্রথম আলো ফেসবুকে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। কিন্তু কিচুক্ষন পরেই তারা শিরোনাম পালটে “পাদের গন্ধের” জাগায় “সিগারেটের ধোয়া ছাড়া” সংশোধন করে দেই। আশা করি প্রথম আলো এধরনের শিরোনাম কেন দিয়েছিল তার ব্যাখ্যা দিবেন বলে মনে করি। এখন প্রথম আলোতে সংশোধিত খবর প্রকাশ করা হচ্ছে- ফেসবুক থেকে নেয়া স্ক্রিনশট এবং সংশোধিত খবর-

 সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, শাহজালাল ও শাহ আমানত ছাত্রাবাসের মাঝখানে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের দুই ছাত্রলীগ কর্মীসহ পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন।
এ দুই পক্ষ হল ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ভিএক্স (ভার্সিটি এক্সপ্রেস) ও সিক্সটি নাইন। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে এ দুটি পক্ষ ক্যাম্পাসে পরিচিত। ছাত্রলীগের আহত দুই কর্মী হলেন ভিএক্স পক্ষের আনোয়ার ও সিক্সটি নাইন পক্ষের ফাহিম।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ব্যাংকের কার্যালয়ে ভর্তি–ইচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সিক্সটি নাইন পক্ষের রায়হান। এ সময় ভিএক্স পক্ষের আনোয়ার নামের এক কর্মী এসে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়েন। ধোঁয়া রায়হানের মুখে লাগলে রায়হানসহ কয়েকজন আনোয়ারকে সেখানেই চড়-থাপ্পড় মারেন।
এই খবর জানাজানি হওয়ার পর উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হন। তবে দুই পক্ষের জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে কর্মীরা ওই জায়গা থেকে সটকে পড়েন।
পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ভিএক্স পক্ষের নেতা-কর্মীরা শাহজালাল ছাত্রাবাস ও সিক্সটি নাইন পক্ষের নেতাকর্মীরা শাহ আমানত ছাত্রাবাসে অবস্থান নেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। উভয় পক্ষের নেতা–কর্মীদের হাতে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দেখা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে উভয় পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পুলিশের বাধা অতিক্রম করে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ১৮টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষের নেতা–কর্মীদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের উভয় পক্ষই যথেষ্ট উত্তেজিত ছিল এবং একে অপরের দিকে সমানে ইট, পাথর নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। ১৮টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’

সিক্সটি নাইন পক্ষের নেতা আলমগীর টিপু প্রথম আলোকে বলেন, ‘জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। আমরা বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More