ফিনল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী সাউলি নিনিস্তো রাষ্ট্রীয় কোনো সফরে যাওয়ার আগে একজন তরুণ সাংবাদিককে ফোন করেন। তার সফরের খোঁজ খবর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। তরুণ সাংবাদিক আর কেউ নন, তিনি বাংলাদেশের অফিউল হাসনাত রুহিন।
উচ্চতর শিক্ষার বৃত্তি নিয়ে ফিনল্যান্ডে থাকা রুহিন সেখানে গড়ে তুলেছেন ফিনল্যান্ড টাইমস নামে একটি নিউজ পোর্টাল। যেটি সদ্যই এক বছর পেরিয়ে পা ফেলেছে দ্বিতীয় বছরে। এর মধ্যেই ফিনল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে রুহিনের ফিনল্যান্ড টাইমস।
নতুন বছরে পদার্পণ এবং বিগত বছরের সাফল্য আলোচনা অফিউল হাসনাত রুহিন সম্প্রতি লেখা প্রকাশ করেছেন ফিনল্যান্ড টাইমসে। দিবার্তা.কম পাঠকদের জন্য রুহিনের সাফল্যগাঁথা এবং ফিনল্যান্ড টাইমসের যাত্রা শুরুর গল্প হুবহু তুলে ধরা হলো। রুহিনের এমন সাহসী উদ্যোগ এবং ঈর্ষণীয় কীর্তি নিশ্চয় প্রেরণা যুগাবে অনেকের মনে-
“২০১২ সালের শেষের দিকে ফিনল্যান্ড টাইমস সাড়ম্বরে তার যাত্রা শুরু করেছিল। আমি প্রত্যেককে কৃতজ্ঞতা জানাই, বিশেষ করে পাঠক, উৎসাহদাতা, প্রদায়ক এবং শুভানুধ্যায়ী; যারা প্রথম থেকেই আমাদের পথ চলার সঙ্গী ছিলেন এবং যারা ফিনল্যান্ড টাইমসের প্রথম বছরটিকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। এই বিশেষ দিনে আমি সেই প্রথমদিককার কথা স্মরণ করছি যখন ফিনল্যান্ড টাইমস খুবই ছোট ছিল। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিনল্যান্ড টাইমস দেশে এবং দেশের বাইরে পাঠকদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছে।
ফিনল্যান্ড টাইমস গণমাধ্যমে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে যাত্রা শুরু করেছিল। এটি ইউনিভার্সিটি অফ ল্যাপল্যান্ড-এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য সাংবাদিকতার সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে আমাদের পাঠকদের চলমান ঘটনার সাথে সংযুক্ত রাখা। এক্ষেত্রে পাঠকরাই আমাদের মূল্যায়ন করবেন।
আমাদের হাজারো সীমাবদ্ধতা আছে, প্রতি মুহূর্তে অগ্রসরমান তথ্য-প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলা আমাদের পক্ষে মাঝে মাঝেই কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু পাঠকদের ইতিবাচক সাড়া আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে সাহস জুগিয়েছে, যার ফলে অ্যালেক্সা ট্রাফিক র্যাংকিং অনুযায়ী অনলাইন নিউজ পেপারের ক্ষেত্রে ফিনল্যান্ড টাইমস অনেক উঁচুতে অবস্থান করছে।
আর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে ফিনল্যান্ডবাসী এবং পৃথিবীর ১৭৩টি দেশে বসবাসরতদের জন্য, যারা গত এক বছর ধরে আমাদের সাইটটি ভিজিট করেছেন। ফিনল্যান্ড টাইমস প্রবাসীদের জন্য নতুন এক জানালা তৈরি করেছে যার মাধ্যমে তারা নরডিক দেশগুলোর সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক চলমান ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারছে।
আমি আবারও আমাদের স্পন্সর, কর্মীবাহিনী এবং শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানাই যারা গত একটি বছর আমাদের সাথে ছিলেন। এবং আমি আশা করবো সামনের বছরগুলোতেও তারা তাদের সহযোগিতার হাত আমাদের প্রতি বাড়িয়ে দেবেন।”