জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের দায়ের করা পাল্টা মামলায় জামিন পেয়েছেন জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কাজী মোবারক হোসেন এবং বাংলামেইলের জবি করেসপন্ডেন্ট হেদায়েত উল্লাহ খানসহ অন্য সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) হাজির হয়ে সাংবাদিকরা জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
সাংবাদিক সমিতির সভাপতিসহ অন্য সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমিতির সভাপতি ও বিডিনিউজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি কাজী মোবারক হোসেন বাদী হয়ে হামলার নেতৃত্বদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জসিম রেজাকে প্রধান আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলা নং-২০। এর ঠিক সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর হামলাকারী জসিম রেজা কাজী মোবারকসহ অন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন একই থানায়। জসিম রেজার দায়ের করা মামলার নম্বর ২১।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উভয় পক্ষই ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। এসময় কাজী মোবারকের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, কাজী মোবারক হোসেনের কাছে সাংবাদিক সমিতির নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই প্রতিপক্ষ তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। এর জের ধরেই কাজী মোবারক হোসেনসহ অন্য সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। তারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আইনের আশ্রয় নেয়। আমাদের প্রতিপক্ষ তার একটি পাল্টা মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে জসিম রেজার আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে এধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা মীমাংসা করে নেব।
পরে আদালত উভয়পক্ষের জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে কাজী মোবারক হোসেনের কাছে হেরেছিল কালেরকণ্ঠের জবি প্রতিনিধি জসিম রেজা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কালেরকণ্ঠের জবি প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছেন তিনি এবং সাংবাদিক সমিতিতে অস্থিরতা সৃষ্টির বিভিন্ন অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি জবি সাংবাদিক সমিতিতে ভুয়া সাংবাদিক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে শো’কজ নোটিশ পাওয়া দুই শিক্ষার্থীও তারই অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে স্বীকৃত। এর জের ধরেই জসিম রেজার নেতৃত্বে গত রোববার দুপুরে সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিক সমিতির সভাপতিসহ অন্য সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় চাকরিচ্যুত ও ভুয়া পরিচয়পত্রধারী সাংবাদিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিক্রিয়াশীল হিসেবে পরিচিতরা।