পুলিশ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
গতকাল রোববার এক প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল জববার বলেন, আওয়ামী সরকারের অগণতান্ত্রিক, সংবিধান ও মানবাধিকার বিরোধী কার্যক্রম যাতে মানুষের কাছে না পৌঁছায় সে জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর ধারাবাহিকভাবে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এই নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেফতারকালে ডিবি পুলিশ সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত ¡পালনে বাধা, ক্যামেরা ভাংচুর, একটি রুমে আবদ্ধ করে রাখাসহ নির্যাতনমূলক যে আচরণ করেছে তা কোন সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায় না। সারাদেশে একইভাবে সাংবাদিকদের নাজেহাল করছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডার বাহিনী। গতকালও তারা পুরনো ঢাকা এবং টঙ্গীতে আরটিভি, বাংলা ভিশনসহ বেশ ক’জন রিপোর্টারের ওপর হামলা চালিয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর সরকারের চলমান এই নিপীড়ন নীতি দেশবাসীকে অবাক করেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একদিকে সাংবাদিক নির্যাতনের নিন্দা জানান, অন্যদিকে তার ক্যাডার বাহিনী ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিকদের কাজে বাধা প্রদানসহ নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারেরা বরাবরই গণমাধ্যমের ওপর চড়াও হয়েছে। আওয়ামী স্বৈরাচারও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি ও আমার দেশ বন্ধ করে দিয়েছে। উল্টোদিকে দলীয় মনোভাবাপন্ন গণমাধ্যম দিয়ে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে অবিরাম প্রোপাগা-া চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকার মূলত আরো একঘরে হয়ে পড়েছে। আমরা এমন ন্যক্কারজনক কর্মকা-ের নিন্দা জানানোর পাশাপশি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে চলতে না দিলে আপনারা আরো ধিকৃত হতে থাকবেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে বাংলাদেশের মানুষ বরাবরই সংগ্রাম করেছে। তথাকথিত সর্বদলীয় সরকার গঠনের পর যখন সাংবাদিক নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে তখন আওয়ামী লীগের মনোভাব বুঝতে কারো বাকি নেই।
শিবির সেক্রেটারি জেনারেল সাংবাদিক নির্যাতন ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।