ঢাকা: রাষ্ট্রদ্রোহ ও নারী নির্যাতন মামলায় আটক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান আবদুস সালামের জামিনের আবেদন ফের নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইমরুল কায়েস জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী বিশ্বাস। এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় জামিনের আবেদন নাকচ করেছিলেন একই আদালত।
গত ৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে ইটিভি কার্যালয়ের নিচ থেকে সালামকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তাকে পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি (নম্বর ১৪) দায়ের করেন কানিজ ফাতেমা নামের এক মহিলা। মামলায় ৪ জনকে আসামি করা হলেও আবদুস সালামের নাম ছিল না।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা মামলার বাদিনী অজ্ঞাতে তার স্থির ও ভিডিওচিত্র গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে অন্য মহিলার অশ্লীল ছবির সঙ্গে বাদিনীর মুখমণ্ডল সংযুক্ত করে ছবিগুলো ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, মোবাইল ফোন, ফেসবুক ও বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসে ছড়িয়ে দেন।
আবদুস সালামের বিরুদ্ধে ওই কাজে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
অন্যদিকে গত ৮ জানুয়ারি দুপুরে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি দায়ের করেন থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বোরহানউদ্দিন। গত ৪ জানুয়ারি রাতে লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তারেক রহমান রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক বক্তব্য দেন এবং ইটিভি ওই বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে- এ অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আদালতের মাধ্যমে ১১ জানুয়ারি আবদুস সালামকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে ১৯ জানুয়ারি তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালতে।