ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে আলোচনায় আসেন অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি। মূলত ১৩ ডিসেম্বর ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে নড়েচড়ে ওঠে গোটা দেশ। টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হন হ্যাপি। এমনকি হ্যাপি-রুবেলের ঘটনা স্থান করে নেয় ভারতীয় গণমাধ্যমেও কিন্তু সেটা অশ্লীল আর কুরুচিপূর্ণ শিরোনামে।
‘বিয়ের প্রস্তাবে অভিমানী ‘নষ্ট মেয়ে’-এমনই একটি আপত্তিকর শিরোনামে যথেষ্ট বাজে শব্দ ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল কলকাতা ২৪x৭।
শুক্রবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনটির কিছু অংশ পাঠকদের সুবিদার্থে হুবহু তুলে ধরা হল:-
‘যৌন লালসার তৃপ্তি মিটিয়ে কেউ সরে পড়েছে, কেউ নিজের সবটুকু দিয়ে এখনও ভালবেসে যাচ্ছে। আর এখান থেকেই শুরু হয়েছিল হ্যাপি-রুবেলের গল্প।
নির্জন ফ্ল্যাটে রাতের পর রাত গভীর শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। সামাজিকভাবে বিয়ে না হলেও একেবারে স্বামী-স্ত্রী’র মতো মেলামেশা করতেন তাঁরা৷ দু’জনেই সেলিব্রিটি। একজন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেন৷ অপরজন ঢলিউডের মডেল তথা উঠতি অভিনেত্রী নাজনিন আখতার হ্যাপি।
দীর্ঘ সহবাসের পর গত ডিসেম্বের সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায় হ্যাপির। যখন রুবেল জানিয়ে দেন হ্যাপির মতো মেয়েকে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করে রাতারাতি লাইমলাইটে চলে এসেছেন অভিনেত্রী হ্যাপি। এরই মধ্যে ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন অনেকে। ‘ধর্ষিতা, প্রতারিত, অসহায়, নষ্ট’ হ্যাপিকে কিছুদিন আগেই পরোক্ষে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন চাঁদপুরের এক তরুণ ব্যবসায়ী।’
প্রসঙ্গত, মামলার বিভিন্ন বেড়াজাল ডিঙিয়ে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন পেসার রুবেল। মনযোগ নিবেশ করেছেন মাঠে। হ্যাপি আগেই জানিয়েছিলেন, আপাতত মামলার কোনো ব্যস্ততা নেই। অপেক্ষা করছি বিশ্বকাপ শেষ হোক। এরইমধ্যে পুলিশ হয়তো আদালতে চার্জশিট দাখিল করবে। তখন থেকে এ মামলা আরও বেগবান হবে।