অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৪ জনের কারাদণ্ড

0

karadondoভুয়া এলসি খুলে চিনি আমদানির নামে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া চারটি পৃথক মামলায় তিন অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা ও এক ব্যবসায়ীকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত আত্মসাৎ করা দেড় কোটি টাকা চারজনকে সমান ভাগে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর রহুল আমিন এ রায় দেন।
দণ্ডিত চারজন হলেন, অগ্রণী ব্যাংকের নগরীর খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুস শুক্কুর, ক্যাশিয়ার মাইনুদ্দিন চৌধুরী, কর্মকর্তা তড়িৎ কান্তি সেন এবং খাতুনগঞ্জের সাতকানিয়া ট্রের্ডাসের মালিক বিভূতি রঞ্জন তালুকদার। এদের মধ্যে বিভূতি রঞ্জন তালুকদার ছাড়া বাকি সবাই পলাতক আছেন।
আত্মসাৎ করা টাকা চার ভাগে ভাগ করে রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য আসামিদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া চারটি মামলায় দেয়া দণ্ড একটির পর আরেকটি কার্যকর হবে বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ সূত্র জানায়, ১৯৮৬ সালের ২৭ মার্চ থেকে ৫ জুন পর্যন্ত সময়ে অগ্রণী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে চার ধাপে দেড় কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অভিযোগ তদন্তে বিষয়টির সত্যতা পাবার পর ১৯৮৭ সালের ৩১ আগস্ট দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক আবু মোহাম্মদ আরিফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় চারটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। ১৯৮৯ সালের ২৭ জুলাই চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।  ২০০০ সালের ৪ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।  মামলায় মোট আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ৪ কিস্তিতে ৪০ লক্ষ টাকা, ৩০ লক্ষ টাকা, ৬০ লক্ষ টাকা ও ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া পৃথক চারটি মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় প্রত্যেককে পাঁচ বছর করে মোট ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। প্রত্যেক মামলায় দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More