অচিরেই সাংবাদিকদের বেতন স্কেলের সমাধান হবে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাড.। নতুন পে-স্কেলের পর সাংবাদিকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে তাগিদও দিয়েছে তিনি। সেই সঙ্গে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
বুধবার দুপুর ২টায় রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সভায় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকের যুগে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রযুক্তিকে জনগণের কল্যাণে দায়িত্বের সঙ্গে ব্যবহার করা। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির বিবেক হিসেবে সাংবাদিকরা যদি ঘটনাগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তোলে ধরতে পারে তাহলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। আমি আশাবাদী সাংবাদিকরা সে দায়িত্বটি ভালোভাবে পালন করতে পারবে।
গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণতন্ত্র বিকশিত হলেই গণমাধ্যমের প্রসার ঘটে। তাই গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণমাধ্যমকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনার দেয়া একটি সংবাদ যেন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাতি হয়রানির শিকার না হয়। সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। পত্রিকা বা চ্যানেলের প্রচারণাকে প্রাধান্য দিলে চলবে না।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের কাজকে সহজ করতে ও প্রয়োজনীয় ভারসাম্য রক্ষার জন্য সরকার তথ্য কমিশন, প্রেস কাউন্সিল ও জাতীয় সম্প্রচার কমিশন গঠন করেছে। এসব প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের কাজ যেমন সহজ করেছে তেমনি কাজকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও এনেছে। সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট। তাদের জন্য একটি কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বেতন স্কেল নিয়ে সমস্যার সমাধান অচিরেই হবে। সরকার সবসময় সাংবাদিকদের উন্নয়নের সঙ্গে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, গণমধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এর মাধ্যমে জনগণ আশা, আকাঙ্ক্ষা ও অভিপ্রায় ব্যক্ত করে থাকে। রাষ্ট্রের অভিভাবকরা যা ভুলে যায় কিংবা পর্যাপ্তভাবে দৃষ্টি স্থাপন করে না, সেটা বলার দায়িত্ব গণমাধ্যম পূরণ করে। আবার অনেক সময় গণমাধ্যমকর্মীরা বিরাগভাজনও হয়ে থাকে। যার জন্য জাতি ও গণতন্ত্র অপূর্ণ থাকে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তবে কিছু লোকের ভূমিকার কারণে গণমাধ্যমের সুনাম যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ।
Prev Post