ঢাবি : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছে তাতে প্রকারান্তরে তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। তারা আমাদের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার দাবি করে তারা একাত্তরে পাকিস্তানীদের ভূমিকাকে সমর্থন করেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেছেন। শনিবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে সমাবেশটির আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নামের এ দুটি সংগঠন মিথ্যা তথ্য দিয়ে বারবার এদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কখনো গণতন্ত্রের নাম দিয়ে কখনো ধর্মের নাম দিয়ে আবার কখনো মানবাধিকারের নাম দিয়ে এদেশের বিরুদ্ধে বারবার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে অচিরেই ক্ষমা চেয়ে তাদের বক্তব্য পরিহার করার আহ্বান জানান। অন্যথায়, বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানান তাদেরকে যেন এই দেশ থেকে বহিস্কার করা হয়, এদেশে তাদের সকল কার্যক্রম যেন নিষিদ্ধ করা হয়।
নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমেরিকা হিরোশিমা-নাগাসাকিতে বোমা মেরে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করলেও তারা এখনো তার বিচার চায়নি। ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনে যখন লক্ষ শিশু-নারী নিহত হয় তখনো তারা বিচার চায় না। আর আমরা যখন ৪০ বছর আগের আমাদের ৩০ লক্ষ শহীদদের হত্যার বিচার করতে যাই তখনি তারা এর বিরুদ্ধে দাঁড়ায়।’
আবৃত্তিশিল্পী রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন- এসময় সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সহ সভাপতি ম. হামিদ, বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, আখতারুজ্জামান, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল কাদের প্রমুখ।
উল্লেখ্য, একান্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আবারো আপত্তি তুলে বিবৃতি দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের বিচারকেও ত্রুটিপূর্ণ বলেছে তারা।