[ads1]শুক্রবার রাতে একদল বন্দুকধারী রাজধানীর কূটনীতিকপাড়ার হলি আর্টিজেন বেকারিতে ঢুকে বিদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে। সকালে কমান্ডো অভিযানে মুক্ত হন তাদের অনেকে। কমান্ডো অভিযানে মুক্ত হলেও গুলশানের ক্যাফে থেকে উদ্ধার পাওয়া ব্যক্তিদের ১৮ ঘণ্টার ‘দুঃস্বপ্নের প্রহর’ কাটছে না।
অভিযানে পাঁচ হামলাকারী মারা পড়েন বলে র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সকালে ক্যাফে ঘুরে আসার পর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “জায়গায় জায়গায় রক্তের দাগ দেখেছি।”
হলি আর্টিজন বেকারি গুলশান এলাকার বিদেশিদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় ছিল। সেখানে লনে অনেকই দেখা যেত চাদর বিছিয়ে রোদ পোহাতে। সবুজ লনে শিশুরাও খেলার পর্যাপ্ত জায়গা পেয়ে ছোটাছুটি করত।[ads1]
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে একজন রয়েছেন প্রকৌশলী হাসনাত করিম। ১৩ বছর বয়সী সন্তানের জন্মদিন উদযাপন করতে ওই ক্যাফেতে গিয়েছিলেন তিনি। তার সঙ্গে ছিল স্ত্রী শারমিন পারভীন এবং ৮ বছর বয়সী অন্য সন্তান।
রাতভর আটক থাকার পর সকাল ৮টার দিকে কমান্ডো অভিযানে হাসনাতের পরিবার উদ্ধার পায় বলে জানান তার মা। সন্তান, পূত্রবধূ ও নাতনীদের জন্য স্বামী এমআর করিমকে সঙ্গে নিয়ে সারারাত গুলশানে ছিলেন তিনি।
ছেলেকে পাওয়ার পর হাসনাতের মা বলেন, ভেতরে সাতজন বাংলাদেশি একজন ভারতীয়ের পাশাপাশি আরও ২০-২২জন বিদেশি ছিল। আক্রমণকারীরা ছিল ৫ জন।
“জিম্মিকারীরা বাংলাদেশি মুসলমানদের সুরা পড়তে বলে। সুরা পড়তে পারাদের রাতে খেতেও দেওয়া হয়। পারভীন হিজাব পরা থাকায় তাকে খাতির করা হয়।”[ads2]
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে বলে বিতর্কিত সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ জানিয়েছে। তবে এই সংগঠনটির তৎপরতার খবর বাংলাদেশ সরকার নাকচ করে আসছে।
হাসনাত ২০ বছর দেশের বাইরে ছিলেন। ইংল্যান্ডে প্রকৌশল পড়াশোনার পর যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে এমবিএ করেন। দেড় বছর আগে দেশে ফিরে আসেন তিনি। রেস্তােরাঁটির ভেতরে লাশ আছে জানালেও কয়জন নিহত হন এবং তারা কারা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জিম্মিদের উদ্ধারে যৌথ কমান্ডো অভিযান শুরু হয়। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সোয়াত সদস্যদের নিয়ে এই কমান্ডো অভিযান চালানো হয়। সকাল সোয়া আটটার দিকে কমান্ডোরা পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এতে তারা সময় নেয় মাত্র ৪৫ মিনিট। বেলা ১১টার দিকে যৌথ কমান্ডো অভিযান শেষ করা হয়। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক কর্নেল রাশিদুল হাসান জানান, অভিযান শেষ হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে[ads2]