জিম্মি উদ্ধার অভিযান নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)

0

hasina[ads1]রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ চার লেন মহাসড়কের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছিল আজ শনিবার। বেলা ১১টার পর শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানের প্রায় পুরোটাজুড়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলেন গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিসান বেকারিতে জিম্মিদের উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান নিয়ে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি আপনারা সকলেই খুব উদ্বিগ্নের সাথে রয়েছেন যে, গতকালকে রাতের বেলা ঠিক এশার নামাজের পরপর কিছু সন্ত্রাসী, তারা গুলশানে একটি রেস্টুরেন্ট, সেই রেস্টুরেন্টে ঢুকে, সেখানে যারা ছিল, তাদেরকে জিম্মি করে ফেলে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা অত্যন্ত তৎপর ছিল। যে মুহূর্তে ঘটনা ঘটেছে, সে মুহূর্তে টহল পুলিশ সাথে সাথে সেখানে চলে যায় এবং আমাদের থানা পুলিশও চলে আসে এবং তারা যখনই অ্যাকশন নিতে যায়, সন্ত্রাসীদের বোমার হামলায় দুজন পুলিশ অফিসার মারা যায়। আর প্রায় ৩০ জনের মতো তারা আহত হয়।’[ads2]

‘যাহোক আমরা সেখানে থেমে থাকি নাই। তবে তাদের উপস্থিতির জন্য একটি ঘটনা যে, তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি। কাজেই তারা উখানেই আটকে থাকে। এর মাঝে আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে ডাকি এবং সেনাবাহিনীর যে প্রথম প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন, সিলেট থেকে সে ব্যাটালিয়ন আনা হয়। সাভার থেকে কমান্ডো নিয়ে আসা হয়। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে কমান্ডো আসে, আমাদের সেনাবাহিনী আসে। এদিকে আমাদের পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, তারা সেখানে সকলে প্রস্তুত থাকে এবং কীভাবে জিম্মিদের উদ্ধার করা, এদের হাত থেকে মানুষকে বাঁচানো আর এই সন্ত্রাসীদেরকে দমন করা, তার পরিকল্পনা আমরা নিই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এগুলো করতে করতে রাত যখন ৪টা, তখন সকলে মিলে, আমাদের সেনাপ্রধানও এখানে আছেন এবং পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব থেকে শুরু করে আমাদের কমান্ডো ব্যাটালিয়ন, যারা প্রত্যেকে ওখানে বসে সমস্ত পরিকল্পনাটা আমরা গণভবনে বসেই নিই যে কীভাবে অপারেশনটা চালানো হবে এবং তারা সেখানে যেয়ে অপারেশন শুরু করেন।’

‘জঙ্গিদের ওপরে এবং সন্ত্রাসীদের ওপরে আমরা আক্রমণ চালাতে সক্ষম হই এবং যারা জিম্মি ছিল আমরা ১৩ জনকে বাঁচাতে পেরেছি। বাকি কয়েকজনকে হয়তো বাঁচাতে পারিনি। কয়েকজন আহত অবস্থায় সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আছে। আর যারা এই সন্ত্রাসী, তাদের ছয়জনই ওখানে অন দ্য স্পট মৃত্যুবরণ করে। তাদেরকে হত্যা করা হয়। তারা সেখানেই মারা যায়। একজন ধরা পড়েছে। কাজেই যারা ওখানে ছিল, সন্ত্রাসী প্রায় সবই, সবগুলিই প্রায় সেখানে মারা যায়।’[ads2]

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সফল অপারেশন করার জন্য আমি আমাদের প্রথম প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সেই সাথে অভিনন্দন জানাই আমাদের নেভি, আমাদের সেনাবাহিনী, নেভি, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আমাদের বিমানবাহিনী সকলকেই।’

‘সব সময় আমরা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস চাই না। এই ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম। এর আগে তারা টুকটাক একটা-দুটো করে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ এই ধরনের ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। এটা অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ করেছে।’ [ads1]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More