এমপি লতিফের ছবিকে জুতাপেটা

0

lotifজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছবি বিকৃত করে ফেস্টুন লাগানোর অভিযোগ ওঠার পর ব্যাপক  সমালোচানর মুখে পড়েছেন চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ লতিফ।
গত ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে ষোলশহর ২ নম্বর গেইট থেকে আগ্রাবাদ ও বিমান বন্দর পর্যন্ত এম এ লতিফের নামে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ফেস্টুন সাঁটানো হয়।

অভিযোগ ওঠে- বঙ্গবন্ধুর যে ছবিটি সাঁটানো হয়েছে সেটি পুরোপুরি বঙ্গবন্ধুর ছবি নয়। ওপরের অংশটি বঙ্গবন্ধুর হলেও নিচের অংশ অন্যজনের ছবির সঙ্গে সুপার কম্পোজ করে সাঁটানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ দলের অভ্যন্তর থেকেই এমন অভিযোগ তোলা হয়।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা নাজমুল আলমসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এ বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। জাতির জনকের ছবি বিকৃত করার ঘটনাকে তারা রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল বলেও উল্লেখ করেন।

নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী জাতির জনকের অপমান ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে এমএ লতিফকে উকিল নোটিশ পাঠাবেন উল্লেখ করে বলেন, জাতির পিতা কোনো ঠাট্টার বিষয় নয়। লতিফ যেটি করেছেন তার শাস্তি তাকে পেতে হবে।

এদিকে জাতির জনকের ছবি বিকৃত করার অভিযোগে বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাগ্রত ছাত্র যুব জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। তারা এমএ লতিফের ছবি সম্বলিত পোস্টারকে জুতা ও ঝাঁটাপেটা করে ঘৃণা জানায়।

এম এ লতিফকে বর্ণচোরা আখ্যায়িত করে দল থেকে তাকে বহিস্কার ও বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করায় শাস্তির দাবিও জানান তারা।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা এক বিবৃতিতে এম এ লতিফকে সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিস্কার ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে তিনি (এম এ লতিফ) জাতিকে কলঙ্কিত করেছেন। কাজেই দলে বা সংসদে থাকার তার কোনো অধিকার নেই।

এ প্রসঙ্গে এম এ লতিফ বলেন, যারা পোস্টার বা ফেস্টুন ছাপিয়েছে তারা আসলেই অন্য ছবির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডল বা উপরিভাগের ছবি লাগিয়েছেন কিনা তা তিনি জানেন না।

তিনি দাবি করেন, হয়তো কেউ ইলমোটিভ থেকে তাকে বেকায়দায় ফেলতে এমন ছবি ছাপিয়ে নগরীতে সাঁটিয়েছে। ফেসবুকে যে ছবিটি তিনি দেখেছেন সেই ছবিটিতে সত্যিকার অর্থেই তার ছবির ওপরের অংশের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছবির উপরিভাগ বা মুখমণ্ডল সুপার কম্পোজ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি এ ধরনের গর্হিত ও জঘন্য কাজের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এর পেছনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More